= * ভূৎসহর * =
আজও ভীষণ মায়া মাখা আমার গ্রাম
দক্ষিণ মাঠের শেষ সীমানায় ছোট্ট নদী ,
শান্ত গ্রাম দাড়িয়ে আছে একই রকম
তারই পাশে বইছে নদী নিরবধি ।
আশেপাশের গ্রামগুলি সব নব্য গাঁ
পিচঢালা পথ আছে তাদের একটু আগে ,
আমার গাঁ আজও পথের ধূলা মাখে
জোনাক আলোয় একাই বসে রাত্রি জাগে !
তেঁতুল ডোবা বড় বাঁধ গাঁয়ের মাঝে
সবাই খেলে দুপুর হলে তারই জলে ,
শান্ত বট বকুল ছায়ায় বসে সবাই
বিকেল হলে সবাই আসে দলে দলে ।
নানা জিনিস আজও আছে প্রাচীন গাঁয়
দিন কাটবে সে সব দেখে ছায়ায় বসে ,
দেখবে গাঁয়ের হাঁসেরা সব খেলবে জলে
সূর্য আলো আসবে গাছের পাতায় মিশে ।
রোজই ঘাটে শান্ত পিসির আনাগোনা
বাসন ধুতে এলে কিছু যায় যে ভুলে ,
কাছের ডোবায় খুঁজে এসে কোথায় রেখে
বড় বাঁধে প্রায়ই আসে কাপড় ফেলে !
ডোবার পাশে মাছরাঙ্গারা লুকিয়ে থাকে
দিন কাটবে দক্ষিণ মাঠের শান্ত আলে ,
অশ্বত্থর ডালে পাবে ঘুঘুর বাসা
রাত্রি হলে জ্যোৎস্না রবে উঠান তলে ।
ঘুরতে পারো পায়ে হেঁটে আমার গাঁ
চরণ ছুঁয়ে উঠবে হেসে ধূলার পথ !
গ্রামের শেষে একটু বাঁকেই জাগরণতল
শেষের দিনে ওই পথে যায় সবার রথ !
থাকো তুমি সারা জীবন গ্রামীন রূপে
ওই অপরূপ রূপের মোহে আসবো ফিরে ,
মাখবো গায়ে সারাবেলা মলিন ধূলা
মাঠের থেকে ফড়িং ধরে ফিরব ঘরে ।
............ 17 . 7 . 2017 ........................
নিরক্ষর

কবি তপন সৎপতী ( নিরক্ষর ) ২০১৬-২০১৮ পর্যন্ত ফেসবুকে কবিতা লিখে সকলের কাছে তার অমূল্য প্রতিভা প্রকাশ করার সুযোগ পেয়েছেন। তাঁর লেখা কবিতা নিয়ে দুটি কাব্যগ্রন্থ “কাব্যকথা” ও “আবহমান” পাঠকদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তিনি ছন্দ কবিতার পাশাপাশি অনেক সনেটও লিখেছিলেন যা পরবর্তীতে বই আকারে প্রকাশ করার তাঁর পরিকল্পনাও ছিলো,  (প্রকাশিত হবে)।
বাংলা কবিতা ওয়েবসাইটে যার সাহায্যে তিনি একাউন্ট খোলেছেন, কবির রেখে যাওয়া  একান্ত ইচ্ছাটাকে সম্মান করেই কবির চলে যাবার পর থেকে তার কবিতাগুলো তিনি আড়ালে থেকে প্রকাশ করে যাচ্ছেন।  
সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি কবি অসুস্থ্য মানুষের সেবা করে গেছেন নিষ্ঠা ভালোবাসা ও দরদের সাথে।
আসুন,  আমরা কবির সৃষ্টিগুলোকে বাঁচিয়ে রেখে, তাঁর  প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান প্রদর্শন করি।