বৈশাখের অবেলায় - দক্ষিণ আকাশ গায়
এলো ধেয়ে কালবৈশাখী ,
ফিরছিলে মাঠ থেকে-ডাকলে আমায় দেখে
ধুলায় ঢাকলো দুটি আঁখি ।
দূরে মেঘ ভেসে যায় - অসীম আকাশ গায়
বৈরী বাতাস ধুলা মাখে !
সুদূরে ছাতিম বনে - কিছু পরে এলে সনে
সবাই আমায় যেন ডাকে ।
একি দেখি তব সাজ - ঝড়েতে কেড়েছে লাজ
বসন ছিঁড়েছে নিজ মত !
যেটুকু রেখেছে তার - মেঘে ঢেকে পথ আমার
উদ্বেলিত করে হিয়া যত !
কি দিয়ে ঢাকবো আজ -নির্জনে তোমার লাজ
সাঁঝ ডাকি তাই দূর বনে ,
যদি যায় মেঘ সরে - গোধূলি আসবে ফিরে
মৃদু আলো ছড়াবে আনমনে ।
সে আলোয় মুখ তবে - লজ্জাতে রাঙা হবে
আমার কপাল যাবে পুড়ে !
গোপনে গোধূলি বেলা - দেখে হবে উতলা
নির্জনে আঁধারীত নীড়ে !
এমনি ভাবনা এসে - বেঁধে নীল চারিপাশে
গহীন নির্জন কালো বনে ,
খানিক পরেতে একি - সমীরণে মেঘ দেখি
গেল দূরে অসীমের সনে ।
আবেলার আলো গায় - সূর্য দক্ষিণে যায়
লাল আভা মিশে ছায়া পথে ,
অপরূপ রূপ লয়ে - মিশে গেলে এক হয়ে
লাজ ভুলে কায়া ঢেকে সাথে !
ধীরে ধীরে সাঁঝ এসে - আঁধারেতে গেল মিশে
এক হলো শরীরের ছায়া !
নির্জন রাতের পরে-জ্যোত্স্নালোকে গেলে ফিরে
রেখে গেলে গোধূলির মায়া !!
............ 16 . 5 .2017 ......................................


তপন সৎপথী (নিরক্ষর) এখন স্বর্গবাসী। তিনি গ্রাম্য চিকিৎসক হিসেবে বাকুঁড়া জেলার সকলের কাছে যেমন প্রাণের মানুষ হয়ে উঠেছিলেন তেমনি কবিতা সৃষ্টির মাধ্যমে সকলের অজস্র ভালোবাসা ও সম্মান পেয়েছেন। তিনি ২০১৬-২০১৮ পর্যন্ত ফেসবুকে কবিতা লিখে সকলের কাছে তার অমূল্য প্রতিভা প্রকাশ করার সুযোগ পেয়েছেন। তাঁর লেখা কবিতা নিয়ে দুটি কাব্যগ্রন্থ “কাব্যকথা” ও “আবহমান” পাঠকদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তিনি ছন্দ কবিতার পাশাপাশি অনেক সনেটও লিখেছিলেন যা পরবর্তীতে বই আকারে প্রকাশ করার তাঁর পরিকল্পনাও ছিলো,  (প্রকাশিত হবে)।
বাংলা কবিতা ওয়েবসাইটে যার সাহায্যে তিনি একাউন্ট খোলেছেন, কবির রেখে যাওয়া  একান্ত ইচ্ছাটাকে সম্মান করেই কবির চলে যাবার পর থেকে তার কবিতাগুলো তিনি আড়ালে থেকে প্রকাশ করে যাচ্ছেন।  
সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি কবি অসুস্থ্য মানুষের সেবা করে গেছেন নিষ্ঠা ভালোবাসা ও দরদের সাথে।
আসুন,  আমরা কবির সৃষ্টিগুলোকে বাঁচিয়ে রেখে, তাঁর  প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান প্রদর্শন করি।