হই আমি অর্বাচীন না হয় সত্যের ,
বিদীর্ণ হিয়ার মাঝে সত্য শুধু মানি ,
আকাঙ্খার ধন মন কাঙ্খিতের মাঝে
দিকভ্রষ্ট সমাজের হাহাকার শুনি !
কে দিল ধুলায় ফেলে সদ্য জাত ভ্রূণ -
কে রচিলে নীতিমালা শুধুই নারীরে ,
ঘৃণার আচার কোন মূর্খ রীতি নীতি
আমার জননী আজো কাঁদে পথ পরে !
ধরায় নারী সেতো স্বর্গেরদেবী সম ,
মিথ্যার আচার স্পর্শ নাহি করে যেন ,
বৈধব্য রূপের সাজ দাও পুরুষেরে
নারী 'পরে সামাজিক দায় ভার কেন !
পরাও শ্বেত বস্ত্র খাদ্যেতে নিরামিষ
দাও তুলে হস্তে তার যত নীতি মালা ,
নিয়মের বেড়াজালে রাখি আজি হতে
শুরু হোক পুরুষের একা পথে চলা ।
চাক্ষু উন্মিলিত কর ধার্মিক সমাজ ,
নিয়মের নাগ পাস ছিন্ন করি আজ ,
আমার কন্যার পথে না থাক নিয়ম -
তুলেদিনু আজি হতে সামাজিক কাজ ।
হোক সে বিধবা মোর তবু হৃদয়ের ,
নিয়ম কেবলি তুমি রচিলে তাহার ,
কিসের বিধান সৃষ্টি করিলে ধরায়
পুরুষ রচিবে নীতি নিজ স্বার্থে তার !
আজি হতে জাগ্রত করহ শক্তি খানি
জননী- ভগিনী -কন্যা সমাজের যত ,
শুরু হোক পথ চলা সাম্যের বিচারে
নীতিমালা রচ তুমি করে নিজ মত ।
সুন্দর পৃথিবী পরে সকল ধর্মের
অবাঞ্ছিত রীতিনীতি করহ বিচার ,
ধর্মসার শিরধার্য্য করিলাম আমি
নিষ্ঠুর নিয়ম রীতি করি পরিহার ।
...... 14 . 5 . 2017 .......................

তপন সৎপথী (নিরক্ষর) এখন স্বর্গবাসী।

তিনি গ্রাম্য চিকিৎসক হিসেবে বাকুঁড়া জেলার সকলের কাছে যেমন প্রাণের মানুষ হয়ে উঠেছিলেন তেমনি কবিতা সৃষ্টির মাধ্যমে সকলের অজস্র ভালোবাসা ও সম্মান পেয়েছেন। তিনি ২০১৬-২০১৮ পর্যন্ত ফেসবুকে কবিতা লিখে সকলের কাছে তার অমূল্য প্রতিভা প্রকাশ করার সুযোগ পেয়েছেন। তাঁর লেখা কবিতা নিয়ে দুটি কাব্যগ্রন্থ “কাব্যকথা” ও “আবহমান” পাঠকদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তিনি ছন্দ কবিতার পাশাপাশি অনেক সনেটও লিখেছিলেন যা পরবর্তীতে বই আকারে প্রকাশ করার তাঁর পরিকল্পনাও ছিলো,  (প্রকাশিত হবে)।
বাংলা কবিতা ওয়েবসাইটে যার সাহায্যে তিনি একাউন্ট খোলেছেন, কবির রেখে যাওয়া  একান্ত ইচ্ছাটাকে সম্মান করেই কবির চলে যাবার পর থেকে তার কবিতাগুলো তিনি আড়ালে থেকে প্রকাশ করে যাচ্ছেন।  
সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি কবি অসুস্থ্য মানুষের সেবা করে গেছেন নিষ্ঠা ভালোবাসা ও দরদের সাথে।
আসুন,  আমরা কবির সৃষ্টিগুলোকে বাঁচিয়ে রেখে, তাঁর  প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান প্রদর্শন করি।