(তুমি আছো প্রতিটি অক্ষরে, শব্দে, ভালোবাসায়)
তোমার পথে চেয়ে আছি খুলে দখিন দ্বার
এ পথ দিয়ে যাবে যখন নেব তোমার ভার,
দেখবো শুধু নয়ন মেলে -
কেমন করে একলা ফেলে,
যাচ্ছো তুমি রাত আঁধারে দূরের পারাবার
রোজই চেয়ে থাকবো পথে খুলে দখিন দ্বার!
যতই তুমি আড়াল রেখো নিজে পথের ‘পরে
কাঁকন দুলে উঠবে ঠিকেই একটি কোনো সুরে,
এমন হলো চকিত পানে -
লুকাও যদি উদাস মনে,
দেখেও যদি না দেখ গো আমায় খোলা ঘরে
হাজার প্রহর শেষের পরেও রবো পথের ধারে।
ভোর আলোতে যাও যদি বা একলা তুমি হেঁটে,
দেখবে তখন খেলবে তপন দূরের খোলা মাঠে,
দেখেই তোমায় জড়িয়ে নেবে -
প্রথম আভায় বিবস হবে,
বৈরী হওয়ায় উড়বে আঁচল তোমার খোলা পিঠে
নাহয় যাবো তোমার সাথে তোমার ছায়ায় হেঁটে।
দুপুর হবে ভাববে তুমি শান্ত দীঘির জল,
দেখবে মাঠের ছোট্ট আলে আবছা অবিকল
হয়তো বসে কাটবো ঘাস -
এ কাজ আমার বারো মাস,
তখন আমি রইব দূরে ভাবনাতে বিহ্বল,
তোমার মনে থাকবে শুধু আবছা কোলাহল!
ঠিক বিকালের খোলা হওয়ায় উঠবে নেচে মন
পথের কথা ভুলবে তুমি একলা খানিক ক্ষণ,
দেখবো তখন দুই নয়নে -
রইবো চেয়ে তোমার পানে,
সেই আঁধার পথ হারাবে তোমার দুই নয়ন
তেমন সময় নিঝুম সাঁঝে করবো নিরীক্ষণ!
এমনি করে দিনের শেষে তপন যাবে দূরের দেশে
সেথায় দুয়ার রইবে খোলা তোমার পথে মিশে,
এসো তখন ইচ্ছে হলে -
যেথায় খুশি সাগরকূলে,
তোমায় নিয়ে রাত হবে পার উপকূলে বসে,
আঁধার টুকু ভরিয়ে দেব তোমায় ভালবেসে।