আমার গ্রাম - ভূৎশহর
আজও ভীষণ মায়া মাখা আমার গ্রাম
দক্ষিণ মাঠের শেষ সীমানায় ছোট্ট নদী,
শান্ত গ্রাম দাড়িয়ে আছে একই রকম
তারই পাশে বইছে নদী নিরবধি।
আশেপাশের গ্রামগুলি সব নব্য গাঁ
পিচঢালা পথ আছে তাদের একটু আগে,
আমার গাঁ আজও পথের ধূলা মাখে
জোনাক আলোয় একাই বসে রাত্রি জাগে!
তেঁতুল ডোবা বড় বাঁধ গাঁয়ের মাঝে
সবাই খেলে দুপুর হলে তারই জলে,
শান্ত বট বকুল ছায়ায় বসে সবাই
বিকেল হলে সবাই আসে দলে দলে।
নানা জিনিস আজও আছে প্রাচীন গাঁয়
দিন কাটবে সে সব দেখে ছায়ায় বসে,
দেখবে গাঁয়ের হাঁসেরা সব খেলবে জলে
সূর্য আলো আসবে গাছের পাতায় মিশে।
রোজই ঘাটে শান্ত পিসির আনাগোনা
বাসন ধুতে এলে কিছু যায় যে ভুলে,
কাছের ডোবায় খুঁজে এসে কোথায় রেখে
বড় বাঁধে প্রায়ই আসে কাপড় ফেলে!
ডোবার পাশে মাছরাঙ্গারা লুকিয়ে থাকে
দিন কাটবে দক্ষিণ মাঠের শান্ত আলে,
অশ্বত্থর ডালে পাবে ঘুঘুর বাসা
রাত্রি হলে জ্যোৎস্না রবে উঠান তলে।
ঘুরতে পারো পায়ে হেঁটে আমার গাঁ
চরণ ছুঁয়ে উঠবে হেসে ধূলার পথ!
গ্রামের শেষে একটু বাঁকেই জাগরণতল
শেষের দিনে ওই পথে যায় সবার রথ!
থাকো তুমি সারা জীবন গ্রামীণ রূপে
ওই অপরূপ রূপের মোহে আসবো ফিরে,
মাখবো গায়ে সারাবেলা মলিন ধূলা
মাঠের থেকে ফড়িং ধরে ফিরব ঘরে।
রচানাকা : ২০১৭-১৮