আদি পথ
ধরণী আড়ষ্ঠ নিজ রূপের সম্ভারে,
জল স্থল নীলিমায় নিশ্চুপ সকল,
ভূমধ্যসাগর ভাসে খুঁজে বালিয়াড়ি
গলিত তুষার জলে মেরু বেদখল!
সভ্যতা লুটায় গ্রাম নগরের হাতে
নগর নিজস্ব ভুলে প্রসাধনী গায়,
মানুষ বিকায় নিজে মোহের উল্লাসে
ইলোরায় পুরাতত্ত্ব সভ্যতা মিলায়।
বেশ তো ছিলই ভালো ইতিহাস কথা
নিজস্বতা ছিল তার সকল সৃষ্টির,
গুরুগৃহে দীক্ষালাভে শিক্ষা উন্মিলিত
আজি যেন সকলেই ভীষণ অস্থির।
সে যুগের আরো আগে শান্ত ধরাধামে
ছিলনা নিজের বলি কারোই দখল,
যাহা কিছু ছিল সব সকলের তরে
সুপ্ত কামনায় ছিল নিশ্চিন্ত বাকল!
ধুলা পথে দাও গড়ে আমার আবাস,
ফিরাইয়া দাও মোর সভ্যতা প্রাচীন,
থাকিব আনন্দ মনে রাজার শাসনে
দেখুক চাহিয়া সবে যতেক অর্বাচীন।
সম্রাট আদেশ দিন রচি ইতিহাস,
নগরের পথে দিব সভ্যতার বাণী,
শিক্ষায় আনিব সেই পুরাতন রীতি
মনুষ্যত্ব বিকাবে না কোন স্থানে জানি।
দিকে দিকে শুরু হোক খননের কাজ
খুঁজি সেই সত্য-ত্রেতা-দাপর সভ্যতা!
হোক সে ধুলায় ঢাকা দিগ্বিদিক যত
খননের ধুলায় ঢাকি নব্য বর্বরতা!
কলির দাপটে কুঁড়ি শুকায় শাখায়,
নিরীহ আত্মারা কাঁদে শূন্য পানে চাহি,
অশুভ সংকেত ধ্বনি শোনায় ধরায়
ধ্বংসের পথে তে রথ নিবারণ নাহি।
রচনাকা : ২০১৭-১৮