আমার সোনালী মাঠে দুধ ভরা ধান
বসন্তে পলাশ খেলে একান্ত সজ্ঞানে ,
ওই দূর পাহাড়ের পাথরের গায় -
ফাগুন হাসিছে দেখো আপন ভুবনে ।
ওখানে সৃষ্টির মাঝে দূর নীরবতা !
কুঁড়ি গুলো বড় হয় ফাল্গুনী আঁধারে ,
তবুও অসীম তেজ গাঢ় লাল সব -
মৃদুলয়ে কৃষ্ণকলী নীরব সংসারে ।
থাক তবে ফাগুনের রেশ বুক জুড়ে -
উরুর অন্তর ঢাকা নিখিল পাথরে !
সান্ধ্য নীল সোহাগের চুপ কথা খানি
রেখে দেব আজীবন শুধুই অন্তরে ।
এমনি ফাগুন দিনে দৃপ্ত সদা মন -
সময়ের সাথে কিছু অসাধ্য সাধন ।
............... ২৮ . ২ . ২০১৮ ........
তপন সৎপথী (নিরক্ষর) এখন স্বর্গবাসী। ১৩ আগষ্ট, ২০১৮ সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ২ অক্টোবর, ২০১৮ না ফেরার দেশে চলে যান। তিনি বাকুঁড়ার সকলের প্রাণের মানুষ হয়ে উঠেছিলেন তার সাহিত্য ও সেবার মাধ্যমে। তাঁর দুটি কাব্যগ্রন্থ “কাব্যকথা” ও “আবহমান”। ছন্দ কবিতার পাশাপাশি অনেক সনেটও লিখেছিলেন। বাংলা কবিতা ওয়েবসাইটে যার সাহায্যে তিনি একাউন্ট খোলেছেন, কবির রেখে যাওয়া একান্ত ইচ্ছাটাকে সম্মান করেই কবির চলে যাবার পর থেকে তার কবিতাগুলো তিনি আড়ালে থেকে প্রকাশ করে যাচ্ছেন। সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি কবি অসুস্থ্য মানুষের সেবা করে গেছেন নিষ্ঠা ভালোবাসা ও দরদের সাথে।