এমন ঘন বর্ষায় খুব ইচ্ছে করছে কিছু বৃষ্টির জল নিয়ে ভালোবাসার এক কাপ আবেশীত কফি বানিয়ে দেই। কফিতে চুমুক দেবে আর আমি অপলক চেয়ে থাকবো মুখের পানে। ভাবতে ভাবতেই ফোনটা বেজে উঠলো উচ্চস্বরে-

-অসময়ে তোমায় জ্বালাতন করতে ভীষণ ইচ্ছে হচ্ছিলো, তাই ফোন করে বসলাম, তুমি বিরক্ত হলেও কিচ্ছু করার নেই।
-থামো থামো, একা একাই কথা বলে যাবে নাকি আমাকেও কিছু বলার সুযোগ দেবে!!
-ও তাই তো! খেয়াল করেছো, তোমার কাছে ফিরলে আমি কেমন এলোমেলো হয়ে যাই।
-হয়েছে হয়েছে,
-বিশ্বাস করলে না, আজ যখন সারাদিন অবিরাম বর্ষণ হচ্ছিলো বারবার তোমার মুখখানি ভেসে উঠছিলো হৃদয়পটে। আগ্রহটা আর চেপে রাখতে পারিনি।
-এটাই হয়তো অন্তরের যোগাযোগ
-ঠিক বুঝলাম না
-আমিও তোমাকে ভীষণ রকম ভাবছিলাম। তোমার জন্য বৃষ্টি জলের গরম কফি বানালাম।
-তারপর! বলো,
-এই আকাশটা আজ সারাদিন জানান দিয়ে গেলো, এমন ও ক্ষণে মন নাহি থাকে নিজেরও মাঝে, সে যে ছুটে চলে যায় প্রিয়র হৃদয় মাঝারে। কখনো মেঘ হয়ে আড়াল করে সকল কষ্ট আবার কখনো বর্ষার অবিরাম জলধারা হয়ে ভিজিয়ে দিয়ে যায় দুজনার অব্যক্ত সুখগুলো।
-থামলে কেনো! কতোদিন পর এমন বর্ষায় দুজন কথোপকথনে হারিয়ে যাচ্ছি, মনে পড়ছে তোমার!!
-তুমি-আমি হেঁটে যাচ্ছি ভেজা পথের পাশ ধরে পাশাপাশি । কিছু জলের কণা বারংবার তোমায় ছুঁয়ে ছুঁয়ে ঝরে পরছে ঘাসের বুকে।
-আমি সহসা তোমার কাঁকন পরা হাত ছুঁয়ে নিজেকে হারিয়ে খুঁজি বর্ষার ঝিরিঝিরি অনুভূতির জলকণায়। একটু বসি, ঐ ভেজা ফুলের পাপড়ির স্নিগ্ধতার ভালোবাসার চাঁদরে।
-অধর ছুঁয়ে আলিঙ্গনের বৃষ্টি কেমন লাজুক চোখে আবেশীত তোমাতে।
-ছুঁয়ে যাচ্ছি তোমার কবিতা হয়ে তোমার পংক্তির সবটুকু !!
-কখনো বেহায়া বাতাস মাতাল হচ্ছে
-তোমার খোলা চুলে শেষ বৃষ্টি জলের স্নিগ্ধ আভা, আমায় ছুঁয়ে ছুঁয়ে অজান্তেই প্রকাশিত।
-রাখছি
-না, রেখো না,
-মশাই, কাজে মন দাও, ভালোবাসার সবটা জুড়ে তো তুমিই আছো।
-কতোদিন পর, তোমার নীড়ে একান্ত হয়ে ভিজে যাচ্ছি বরষার বয়ে চলা জলের কণা হয়ে। ভিজে যেতে দাও তৃষিত হৃদয়কে। বারণ করো না, আজ যে না বলা কথাগুলোর শব্দ হয়ে ফিরে আসার ক্ষণ।
-এমন করে বললে আমি কিভাবে নিজেকে,
-কি, বলো,
-কেউ এলো বোধহয় , বাহিরের বেলটা বেজে যাচ্ছে। রাখছি ।
-না আর পাঁচ মিনিট
-চোখ বন্ধ করো দেখো আমি তোমার পাশেই আছি।
-ভালোবাসা, এভাবেই শত বাঁধাতেও আঁকড়ে থেকো তোমার অন্তর ছুঁয়ে অন্তহীন।

(চলবে)

রচনাকাল-৮/৮/২০১৯