প্রথমে ঘরের দরজা ভেঙে গেলো।
বৈষয়িক তেমন কিছু অবশিষ্ট না থাকায় ভাবলাম,
ভালোই হলো, যাতায়াত সহজ হলো।
অজানা গন্তব্যে হুটহাট বেড়িয়ে পড়তে চাইলে
প্রথমেই বাধা হয়ে দাঁড়াতো এই দরজাটা।
এরপর ঘরের জানালা ভেঙে গেলো।
ভাবলাম, যাক বাবা, বাঁচা গেলো!
পূর্ণিমার চাঁদ, শরতের মেঘ, বসন্তের হাওয়া,
শীতের হিমবাহ, বর্ষার রিনিঝিনি, হেমন্তের পাতা ঝরা
কিংবা গ্রীষ্মের তীব্র রোদের প্রথম দর্শন
পাওয়া থেকে এবার আটকায়, সাধ্য কার!
এরপর ঘরের ছাদ উড়ে গেলো।
পুরো আকাশটাই ছাদ হয়ে গেলো।
কত রঙ-বেরঙের আকাশ দেখলাম!
তারপর একদিন, ঘরের চারটা দেয়াল ভেঙে দিলাম।
পৃথিবীটা হয়ে গেলো ছোট্ট এক কুঁড়েঘর!
১৬.১০.২০২৪
রামপুরা, ঢাকা