কলংকিনী,
তোমার বুকের বাঁ পাশের তিল-টা কে জিজ্ঞেস করে দ্যাখো
সে আমায় কোনদিন ভালোবেসেছে কি-না...!

কত আর আঘাত দেবে বলো?
তোমাকে অন্যের বুকে দেখতে দেখতে-
আজকাল বড় বেশি অভ্যস্থ হয়ে গেছি আমি!
তোমাকে ছোঁবার অধিকার হারিয়েছি সেই কবে___
তবুও নরকের কীটের মতোন কিলবিল করে ওঠে
আমার শরীর জুড়ে তোমার দেয়া প্রথম স্পর্শগুলো!
নিজের উপর কতটা ঘেন্না লাগে জানো?
স্মৃতির আস্তাকুঁড়ে যেমন জীবিত থাকে গলন্ত লাশ-
আমিও রয়েছি বেঁচে ঠিক সেই জীবন্ত লাশের মতোন!
আমার স্বপ্নগুলো সেই কবে কেড়ে নিয়ে গেছো__
ঘুমগুলো মরে গেছে শেষ ঘুম ঘুমানোর আগে!
তাই আজ কলংকিনী-
আমার রাত্রিগুলো লিখে দিলাম তোমার নামে!
যত পারো কলংক বিলাও__
যত পারো ভেজা ঠোঁটে চুষে নাও পৃথিবীর সুখ!
রাতের অন্ধকারে, আবার ফোটাও ফুল ভুল টবে__
আমি কিছু বলবোনা আর!

তুমিও নিরব থেকো, হয়তো আমার মতো কাল...
যদি কেউ ভালোবেসে তোমাকে শুধায়__

‘কলংকিনী,
তোমার বুকের বাঁ পাশের তিল-টা কে জিজ্ঞেস করে দ্যাখো
সে আমায় কোনদিন ভালোবেসেছে কি-না...!'