স্বামীর সোহাগ শেষে...
তুমিও ভেজাও নাকি চুপি চুপি বালিশের বুক?
অথবা ওপাশ ফিরে, নিরবে পোড়াও প্রাণ?
সে তোমার ভুলের অসুখ!
বলো, নিরুপমা___
আর কত রাত গেলে পাবে তুমি ক্ষমা?
নষ্ট অতীত যতো, ওই বুকে জমা হয়ে আছে...
তারা আজ কত খানি কাছে?
কতোটা আঘাতে তুমি ভেঙে-চুরে চৌচির?
নিয়েছো লাভার সুখ, আগুনের জল___
কতোটা হারালে পরে তুমিও হারবে বলো...
কতটা খোয়ালে শেষ হবে সম্বল?
জানো, নিরূপমা-
আমার রোমশ বুকে কতোটা রাত্রি আছে জমা?
তোমার মতোন করে যে আমার রূহটাকে চুমু দিয়ে গেছে__
তোমার যাবার পর হয়তোবা অভিমানে সেও চলে গেছে!
আমার আমিকে তবু ফেরাতে পারিনি...
ফেরাতে পারিনি তার ভুলে ভরা আঙিনার থেকে!
লুকাতে চেয়েছি যতো, মেঘে ঢাকা জোছনার মতো
সে আমার জেনেছে ঠিকানা !
সে আমায় নিয়ে গেছে নীল জল সাগরের তীরে.....
উথাল পাথাল তার যৌবন জোয়ারের কাছে,
যেখানে গভীর ঘুমে ভাটা লেগে আছে !
চতুর চিলের মতো চোখের তারায় চুমু দিয়ে__
আমায় সে চিনিয়েছে মধু ঠোঁটে পূর্ণিমা
কচি ঘাসে নোনা জল, দেহের সুবাস...
আকাশ গঙ্গা জুড়ে যতো তারা খসে গেছে
সে আমায় শুনিয়েছে তার হা-হুতাশ!
আমার আমিকে তাই ফেরাতে পারিনি-
তোমার মতোন তার ভুলে ভরা আঙিনার থেকে!
রাতের গভীরে আরও কত রাত জমা পড়ে আছে...
চুপিসারে তুমিও কী রেখেছো খবর?
ভুল টবে বেড়ে ওঠা ফুল তুমি, নিরূপমা___
ফুলের বাসরে তাই দিয়েছি কবর!