ঘুমের ঘোরে কাটল আমার জীবন,
ঘুমের ঘোরেই শেষ হল মোর কাল।
বুঝিনি তো দিনের শুরু কখন!
দেখিনি হায়, সোনা রোদ্দুর সকাল।
বেসেছি ভালো- আঁধার রাতের কালো,
খুব চেয়েছি তিমির রাতের ছায়া।
ঘরে ঢোকেনি ঐ সে প্রাতের আলো,
মন ঢেকেছে মোটা লেপের মায়া।
ভোরের পাখি মেলে আঁখি যখন,
ডাকল সুরে, জাগল ঘুমের পাড়া
কাটল না ঘোর, ভাঙল না মোর স্বপন,
সেই ভ্রমেতেই ছিলাম আত্মহারা।
মেঘের কাঁথা রোজ সরিয়ে হোথা
রাঙা সুরুজ ছড়ায় প্রভা লাজে।
আমি তখন হারিয়ে যেন কোথা!
মিষ্টি রোদে সৃষ্টিরা সব সাজে।
আকাশ তখন ছড়ায় তারই নীল,
গাছেরা সব করলো আলোয় স্নান,
ঘাসের ডগায় রোদ হাসে ঝিলমিল,
গোলাপ ছড়ায় মনমাতানো ঘ্রাণ।
তুমি কি ভাই অবাক চোখে দেখো?
রঙিন আলোয় কখন জাগে তারা।
তুমিও কি ভাই সে আলোতেই জাগো?
আমিই কেবল দেইনি তাতে সাড়া!
দিগ্বলয়ের ঐ লালিমার আঁচে
আজকে আমার কোথায় আঘাত লাগে!
ঘোর ছেড়ে মন উঠলো হঠাৎ নেচে
আমিও এবার উঠবো রে ভাই জেগে!
ভোরের পাখি মেলবে যখন আঁখি,
ডাকবে সুরে একটুখানিক দূরে,
আমিও তখন হবো তারই সাথী,
নাড়বো কড়া তোমাদেরই দ্বারে।
ঘুমের পাড়া যে সুরেতে জাগে-
সেই সুরেতে মেলবো আমি আঁখি।
ভাঙাবো ঘুম সেই সুরেতে ডেকে,
আমিও হব ঘুম ভাঙানোর পাখি।
কবিতাটির রচনা ও স্থানীয় সাময়িকীতে প্রথম প্রকাশ, ২০০৯ সালে।