বর্ণ দিয়ে শব্দ;
   অতপর শব্দের সাথে শব্দ জুড়ে
   চরণের পর চরণ কিংবা পঙক্তি–
   এমন বহু শব্দে সৃষ্টি হয় একটি কবিতা,
   গল্প, নাটক-উপন্যাস, কালজয়ী ইতিহাস।

   নদী-প্রকৃতি, বন, ফুল-ফল-পাখি,
   জীবনের চিরাচরিত সুখ-দুঃখ-প্রেম,
   ন্যায়-অন্যায়, অপরাধ, যুদ্ধ–ব্যথার ভাব;
   এসব প্রকাশে কবি-সাহিত্যিক, গল্পকার-
   গীতিকার, নাট্যকার, ইতিহাসবিদদের থেকে
                                 বের হয় কত শব্দ!
   ফের একের জনের মত একেক রকম।

   একটা ভাব প্রকশে শব্দে শব্দে
   ভরে যায় হাজার পাতা– শেষ হয়
                    অসংখ্য কলমের কালি।
   অথচ তোমার একটা আঁচড়ে ফুটে ওঠে
   নদীর যৌবন, ফুল-পাখি, প্রকৃতির হাসি।
   মানুষের জীবনের কথা– সুখ-দুঃখ, হাসি,
   মহামারি-দুর্ভিক্ষ, যুদ্ধ ও প্রেম এবং
   মানুষ-ই যে মানুষের জন্য ক্ষতিকারক
   তাও জ্বলে উঠে তোমার রংতুলির আঁচড়ে,
   মানুষের বিবেকও নড়ে উঠে, কেঁদে ওঠে
                    তোমার সৃষ্টির তাৎপর্য ভেবে।
   তোমার একটা চিত্রকর্ম– হাজার কবিতা,
   হাজার গল্প, উপন্যাসের প্রসব করে আজও
   এবং নিখাঁদ সত্য ও বাস্তবতার আলোকে।

   হে জয়নুল আবেদিন;
   এককথায়; তোমার শিল্পকর্ম ও ছবি    
   গণমানুষের মুক্তির আন্দোলনের প্রতিচ্ছবি,
               দেশ-দেশান্তর ছড়িয়ে সার্বজনীন।
______________________
২৮/০৫/২০২২🖋️
উৎসর্গঃ শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধা....