দিনে দিনে ঋণের মতো বাড়ে
ধুলোর আস্তরণ সবুজের শরীরে,
কচি পাতা, ফুলের কলি–
হাসি মুখে যেন বেদনার কালি,
কখনো কখনো বাতাসের ঝাঁপটায়
কিছু ধুলো পড়ে যায়, উড়ে যায়;
থেকে যায় তবু অনেক পাতা-ফুল-ফলে–
পাখিরাও যেন বসতে চায় না এই ছলে!
বৃক্ষের আকুতি- আর্তচিৎকার;
মানুষ শুনতেও পায় না একবার,
তবে দূরের ঐ আকাশ শুনে, বলে–
'ধৈর্য্য ধরো, ধুয়ে দিবো স্বচ্ছ শীতল জলে।'
আকাশ কথা রাখে,
রাত-দিন ঘাম ঝরা বৈশাখে;
সময় মতো নেমে আসে আপন খেয়ালে
প্রকৃতিকে ধুয়ে যায় প্রেমাসক্ত জলে,
সবুজের উপর ঝরায় অবিরাম বৃষ্টি–
বৃষ্টি থেমে গেলে; থেমে যায় আমার দৃষ্টি,
চকচকে হয় সবুজ পাতা,
ফুলেরা মেলে দেয় হাসির খাতা,
পাখিরা এসে মেলা বসায় শাখে শাখে
প্রকৃতি জেগে উঠে সতেজতায়, সুখে।
আহা! কিছু বৃষ্টি যদি এমনি করে রোজ–
মানুষকে করে যেত সতেজ,
মনের কালিমা সব ধুয়ে করতো সাফ,
জাগ্রত করে দিতো ইনসাফ,
কমিয়ে দিতো দায়বদ্ধতার ঋণ–
পৃথিবী কখনো হতো না মলিন।
--------------------------------------------
১১/০৫/২০২০🖋️
#কোভিড_১৯ কালে লিখা.......