হিমালয়ের মতো সাহিত্যিক উদারতা,
ঝর্ণার মতো কথা বলার দোলন,
টুনটুনির মতো যাঁর চঞ্চলতা–
তাঁকে ধরাতো দূরের কথা,
ছোঁয়াটাই মুশকিল; যদি তিনি
নিজে কাছে না আসেন, ধরা না দেন।
তিনি নিজেই একজন স্মৃতির আয়না,
তথ্যের সজিব-সতেজ গুদামঘর,
যাঁর স্মৃতি থেকে কখনো কিছু
খোয়া যায় না কোনোভাবে,
যিনি ভালোবাসা বিলায় বিনে পয়সায়–
কোনরূপ প্রতিদানের প্রত্যাশা ভুলে,
রোজ রোজ আমাদের জানায়
কত-শত জ্ঞাত-অজ্ঞাত তথ্য–
তাঁকে বিশ্লেষণের ক্ষমতা আমার
কোথা থেকে আসে!?
তিনি একসময়ের দূরন্ত-দুর্দান্ত
মাঠ কাঁপানো খেলোয়াড়।
কোনো দর্শক নড়বে না একচুল
—এমনই অভিনয় না কি করতেন!
ছড়া লিখে লিখে ছড়িয়ে দেন,
কবিতা লিখে লিখে বিলিয়ে দেন,
গল্প উড়িয়ে বিভোর করে রাখেন।
নিজেকে নিয়ে উদাসীনতা আর
অন্যকে নিয়ে মশগুল থেকে তিনি
ছোট-বড় সকলের কাছে প্রিয়মুখ;
মাজেদুল ইসলাম বাবুল চাচা।
এমন মানুষের প্রশংসায় কোন
যুতসই শব্দ সাজাতে পারি না আমি;
শুধু তাঁকে এঁকে রেখেছি মনের দেয়ালে।
--------------------------------------------
৩০/০৬/২০২০🖋️
উৎসর্গঃ শ্রদ্ধেয় Babul চাচা।