'আগে যেন আমি যাই, অক্ষয় সিন্দূর নিয়া মাথে—'
গরজি উঠেন প্রৌঢ়া, পাশে তাঁর বুড়া মহেশ্বর
মাঘী শীতে জবুথবু, গিন্নির গঞ্জনা লইয়া আর
সময় কাটে না, মুড়ি দিয়া নেন কানের উপর
দরোজা-জানালা বন্ধ, হাড়ে তবু কী কাঁপন বাপ্
থাকিয়া-থাকিয়া শ্লেষ্মা ঘর্ঘর করিছে ফাঁপা বুকে
গৃহিণী চিন্তিত হন, উমা হন কৈলাস-কোটরে—
বুইড়া হইয়াও বুঝি একদণ্ড রাখিবে না সুখে
'শুনো, আর যা-ই হউক, আগে কিন্তু মরিবে না তুমি'—
প্রৌঢ়ার বিরক্ত কণ্ঠ, সোঁদাকণ্ঠ, আর্দ্র ক্রমে-ক্রমে
দুলিয়া-দুলিয়া হাসে বুড়া শিব, আরক্ত যামিনী
উমার কঙ্কণ বাজে ততোধিক লুটায়ে শরমে
কেহ না-কাহাকে ছাড়ে, না-ধরে, না-ব্রতভিক্ষা যাচে
একটি সিন্দূরকৌটা যুগলে অক্ষয় হইয়া আছে