প্রীয় কিরণ দা,প্রযত্নে-রামধনু,
আজ ছয় বছর পড়ে লিখলাম তোকে চিঠি,
তুই কেমন আছিস?
তোর কী ইচ্ছে হয়না,গোধূলীর আলো হয়ে,
ফিরে আসতে আবার,প্রতিদিন বার বার।
আজ আমার তে-তলা বাড়ির ছাদে বসে দেখি,
শয়ে শয়ে বন্ধু,তোর মতন কেউ নেই,
সবাই ভন্ড,মেকি।
যখন আমার অনাহারে দুপুর কাটতো,
হাজার দুঃখ জমতো বুকে,
তুই সেই দুঃখ ছড়িয়ে দিতিস বাতাসে।
এখন প্রতি রাতে,শরীর নিস্চিন্তে ঘুমায়,
কিন্তু মনটা তবু বিনিদ্র রাত জাগে।
দেখি সেই কাদা জলে ফুটবল খেলা,
নৌকা চড়া,গোধূলীর অস্তরাগে।
আজও প্রতি সকালে শুনতে পাই,
তুই আমায় নাম ধরে ডাকছিস।
আচ্ছা তুই কী এখনও আমায়,
নাম ধরে ডাকিস?
আয়না কিরণ দা একবার ফিরে
তুই কাদতে বারণ করেছিলি,কাদিনা।
কিন্তু আমি আবার কাদতে চাই,
তোকে বুকে জড়িয়ে ধরে।
চোখ বন্ধ করার আগে এই চিঠিটাই,
ছড়িয়ে দিলাম ,বরষার ভেজা বাতাসে,
চোখ খুলেই দেখি যেন,
তুই দাড়িয়ে আছিস,আমার পাশে।