সুখ তুমি কি খুব জানতে ইচ্ছে করে,
তোমাতে যেন আচ্ছাদিত হলাম এই নিশিত রজনীর পরে।
চোখেতে দেখেছি তোমার ঐ দীঘল কেশ,
আমাতে তাই ব্যক্ত করি বেশ বেশ।
হবে কি আমার মনের রাণী!
মুছে দিতে চাই তোমার মনের সুপ্ত যত গ্লানি।
সে কী !
তুমি কাঁদছ ?
সুখেরাও যে তোমার ক্যানভাসে এঁকে দিতে চাইবে এ বিরোহ;
সে কহন কি তুমি মনে রাখছ?
জানি তারহীন এ যুগে ক্ষণিকের আলোও হয় অনেক স্পর্শী!
নাগো না, আমার এ ভাল লাগা নহে তা,
বুঝে নিতে পার যদি ও মোর সপ্তর্শী!
যা ভাবছ তুমি এ সাজঁ বেলা।
তোমার হয়েছে যা,
আমারও কী হয় নি তা!
তুমি অপরূপা, লজ্জাবতী,
তাই বুঝি মন আঙিনায় আজ ভেসে উঠবে বাসন্তী তরী,
ও মোর পার্বতী!
স্নিগ্ধ তুমি আর তোমার চলন, বলন বা কথন,
তাই আমি করেছি যে তোমাতে সমর্পণ।
রাত পেরিয়ে সকালের পাখিরা ডাক দিয়ে যায় মোরে,
তোমারি কথা কানে কানে কী যেন যায় তারা আমারে যে বলে।
পাপ্পারাজ্জিরা কি মরীচিকাতে জলকণা নিয়ে হাজির হবে,
না ধানের শীষে বহ্নির মিলন দেখাবে।
তবে সে কথা সত্য হউক,
ইচ্ছাগুলোও ডানা মেলুক।