তোমার কথার যাদুতে হয়েছিলাম দীওয়ানা,
কিছু মূহুর্ত ভেবেছিলামও বটে হে অবলা!
তবে কেন বুঝতে পার নি আমায়,
যখন অন্তঃসার শূণ্য এ প্রাণ মিশেছিল তোমাতে পড়ন্ত এ সাঁজ বেলায়!
আমি তো এমনই ঠিক যেন অন্তঃসার শূণ্য,
তুমিই তো বলেছিলে হে অনন্য!
তোমার সে ক্ষণ যা হয়েছিল আমাতে একাকার,
প্রদীপ জ্বলা এ ঘরেও তা আবহ করেছে এক নিভু নিভু অন্ধকার।
খুঁজেছি আমি সেথায় হন্যে হয়ে শুনতে কি পাও ওহে অবলা,
যা দিয়েছে মোরে বিরোহ এই সাঁজ বেলা।
তোমার প্রণয়ে চাইনে সে ক্ষণে জড়াতে,
তবে কেন মিছে মিছে জড়াতে মোরে তোমার শিল্পের যাদুতে।
জড়ালে যখনই আমি অদম করলাম তোমাতে অযাচিত বিস্ফোরণ,
তুমি বুঝেও কেন বুঝতে পারলে না
এ কি সত্যি না অযাচিত কোন আবহণ!
আমি বুঝি নি তুমি নহে বিচক্ষণ!
করলে মোর আপাদমস্তক হরণ!
ব্যাথিত হলাম খুব,
ভূল নহে মোর জানি তবু চাইলেম ক্ষমা সেথা,
তুমি এড়িয়ে চললে তা!
তুমি অস্ফরি তা আমি জানি,
তবু মিছে প্রত্যায়ণের আশায় এ বুক বাঁধি।
আমার এ মনে তোমার এ শঙ্কা সত্যি নহে,
ইহাই যে শ্রেয়;
নিমত্রন তোমায় তাহা বুঝিবার লহে,
হে প্রিয়!