আমি কামনায় তারিত লালসা
আমার মুখে অনেক দাগ,
প্রতিটি দাগ মানেই একেকটা কষ্ট,
একেকটা ইতিহাস যা নিবে না কেউ ভাগ।
একেকটা দাগ মানেই তরুনের
যৌবনের হাতে খরি,
মদখোর, গাঁজাখোর,যতনেশা খোর
কাউকে বাদদেই না পেটের দায়ে
সবি ধরি।
নখের আচরে,দাতের কামরে
অজান্তে ভুলে ফেটে যাওয়া থাপ্পড়ে,
একেকটা দাগ হয়েছে দেওয়া
কিশোর থেকে দাদুর স্বর্গ শিখরে।
বাদ দিয়ে চলে গিয়েছিলাম অচেনায়
ভেবেছিলাম বাধবো সুখের ঘর,
লালায়িত চোখের চাহনী মোহিনী আমি
অনন্ত ভোগ মায়াজাল করল মোরে পর।
শরীর খারাপ বারবার বমিতে
ডাক্তার বলিলেন হেসে মা হব আমি,
ক্ষনিকআনন্দে হেসেছিলাম মাতৃত্বে
নিখিল,প্রদীপ,আনোয়ার হতে চাইনি
কেউ স্বামী।
সেই ফিরে আসা,সেই পথ চলা
অনেকের আশান্বিত রুপ শেষ হলে খেলা,
আবার একটা নখের আচর উন্মাদিত দাঁত
আসেনা ফিরে কবু কথা রাখার সেই বেলা।
তোমরা বল আমি খারাপ,আমি মন্দ
আমার কাছে আমি ভাল
সমাজ আমাকে খারাপ বলে তাহলে
দাগ গুলো আমাকে কে দিল???
অসহনীয় যন্ত্রনায় জীবনের তাগিদে
মাঝে মধ্যে বেখায়ালী হয়ে অবাক ,
পুরুষদের উত্তেজিত গলিত রক্তজল
মুখের মধ্যে শুধু রক্ত রক্তের দাগ।
রঞ্জিতে হয়ত বুঝবেনা তুমিও
তোমাদের লালাময় অর্পিত দাগ,
কিন্তু মুছতে পারিনা তোমাদের দেয়া
জীবন সংগ্রামে অন্তরের দাগ।