পাখিরগান কলরবে স্নিগ্ধ আলস্যে
সেদিন নয়ন মেলে,
প্রভাতের রানী দিগন্তের মাঝে
দেখেছিলাম যা তা নেইনি আমলে।
আকাশের বুক চিরে লাল আভা
তখন সূর্য্যি মামার আগমনে,
একটু হাটা মেদ কমানোর বাহানায়
কি যেন দেখলাম পাশের বনে।
কি হচ্ছে আজ?আসলেই তা কি
বুঝিনায় কভূ ক্ষনে,
সকাল তখন নাস্তার সময়
বুঝলাম ভিমরতি ধরেছে মনে।
একটু পরে অফিস শুরু
চললাম গন্তব্য স্থলে,
আনমনায় আজ চলে এসেছি
পাশের একটি ঝিলে।
কোথায় অফিস কিইবা যে কাজ
কখন গেছি ভূলে,
ঝিলের পদ্ম গোলাপত নয়
মন চাইছে আনতে তুলে।
নীল শাড়ীর ঐ নীল পদ্মটি
এদিক ওদিক দুলে,
আমন্ত্রণে সাড়া দিতে
নামতে চাইলাম ঝিলে।
অট্রহাঁসির খলখলানি
চাবুক মারে দিলে,
জবাব দিতে কিছু নিতে
নেমে পড়লাম ঝিলে।
নীল শাড়ীর ঐ হাতছানিতে
ডাকছে এপার ওপার,
যাচ্ছি কেবল ধরতে আঁচল
ব্যর্থ আমি বার বার।
মায়ার জালে কামনার তালে
যখন আমি ক্লান্ত,
আযান পড়েছে মসজিদে তখন
দেখলাম সবি ভ্রান্ত।
দ্বি প্রহরকাল ভেজা শরীর
জীবন আমার যায় যায়,
বুঝলাম আমি ঝিলের মাঝে
অফিস আমার কোথায়?