নিখিল ধরা পরে দারুচিনি দ্বীপ বলে কিছুই নেই
সবই মোহ ও ত্বা’গুতে আচ্ছাদিত ভ্রান্ত গোলাপ
ক্ষনস্থায়ীত্ব লভ্যে কতনা অমারাত্রি অভিযোজন!
চোরাবালি জেনেও, স্বেচ্ছায় পা-কে গলিয়ে দিচ্ছি

এক-একটি দিন খরচ করে ভাবছি, বড়-ই হচ্ছি!
বয়ে যাওয়া তাবৎ সময় কেমনে আত্ম হিস্যা হয়?
সুশোভিত বাগান-পাশ পাড়ি দিয়েই, প্রমিত গন্তব্য
গতিক্রমে, সুবাস বৈ আস্ত ফুল কেন তুলতে চাই!

কত ঊচ্ছ্বাস, কত আলোক অন্বেষণে বেরুতে হবে
অথচ আমি কিনা ঘুরপাক খাচ্ছি গহ্বরের অতলে!
নিয়ত হেরেছি, রুহানী জগতে কৃত আমারি ওয়াদা
বারযাখের জীবনকে এড়াতে কত প্রাণান্তকর চেষ্টা!

শুধু উত্তম ফসল বুননের হেতুই শস্যক্ষেত্রে উত্তরণ
সবুজ-শ্যামলিমায় আচ্ছাদিত ঘর একটু দূরেই থাকে
পরীক্ষাগারে তো কভূ চিরস্থায়ী আবাস সৃজিত হয়না
এরপরেও হীরা-কাঞ্চনে খচিত আঙ্গিনাকেই পর করি

জাগতিক লেনদেন সমান ও সমানুপাতিক হারেই ঘটে
বাইরের সবই জুলুম, ঔদ্ধ্যত্য ও অত্যাচারে পরিগণিত
এত তাওবা-এস্তেগফারের সুযোগ কোন রাজাই দেয়না!
সাত গুন-সাতশত গুন বা অসীম হিসেবেও বিনিময় নেই

কোন রাহমাত-নেয়ামাতকে প্রত্যাখ্যান করার জো আছে!
হেরার আলো অন্তরের অন্তঃস্থলে প্রবেশে, আর কি বাকি?
শুভদয়ের আবির্ভাবে, কতটা বসন্তকে খসাতে হবে, ভবে?
বিষ-পেয়ালা লভ্যক্ষন স্তব্ধ হলেই যে, সর্ব কপাট এঁটে রবে

______________________________
রচনাকালঃ ২১.১২.২০১৩ ঈসায়ী

[ আমার সকল রচনাবলী (ইসলামিক কবিতা ও অন্যান্য) আমার ব্যাক্তিগত ব্লগ www.tanin87.blog.com এ ইনশাআল্লাহ্‌ যেকোন সময় পাবেন ]