জানো শঙ্করী ? এ অস্থির অবসরে -
আরো একবার অনুভব করলাম;
তোমার পথে ঢলেছে – এ হৃদয় আমার ;
তরুলতার মতো, প্রজাপতির মতো ।
তুমি জানো না শঙ্করী ?
সেদিন চা-ফুলের গন্ধে তোমাকেই পেলাম
যেন নরম রেশম চুল ছড়িয়ে-
জড়িয়ে আছো গোধূলির অস্পষ্ট মায়ায় ।
আর , আমার আদি অন্ত ভুলে
ছুটে গেছি তিস্তার বালুচরে ; কানপেতে পেয়েছি-
শুধু তোমারি স্পন্দন ।
সবাইকে পিছনে ফেলে, অকস্মাৎ যেন-
রাত্রি হয়ে নেমে এলে এ বুকের’পর !
হয়তো সেই প্রথমবার-
যন্ত্রনাগুলো কলরব করেনি , করেনি কোনো মিছিল;
আর শাপভ্রষ্ট পৃথিবী ছিল হৈমকান্তি শস্যে ভরা মাঠ ।
শঙ্করী দেখেছি – ভুবনডাঙার মাতোয়ারা ,
তোমার ওই উতলা পদ্মা চোখের চাহনিতে ।
আহা ! আর দেখেছি আমার মুক্তি !
সিগারেটের ঊষ্ণ টানে ঠোঁট পুড়ে গেলে,
বিস্ময়ে দেখি – পুব আকাশের রাঙা ভোর তুমি ।
ওগো শঙ্করী ! তুমি জানো না - ডুবেছে এ হৃদয়তরী ।