শিথিল কবরী বুকের’পর, ছূঁয়ে ওই বাহুডোর ;
কথা ছিল ফাল্গুনী রাতে ভালোবেসে হবে ভোর !
আঁধার অরণ্য ছিঁড়ে একবার যদি ফিরে আসে
রাত্রির যত নীলাভ বেদনা জমে আছে ঘাসে-
মুছে দিয়ে সব , সোনালি লগ্নে মুখোমুখি হই-
ভীরু সে দ্বার ভেঙে, শুধাই- কেমন আছো রাই ?
নোনাজল আঁখিতলে চেপে মোর শূন্য আঙিনায়
বিছিয়ে শীতল পাটি, ক’বো “ চাঁদমামা কই ?”
শিউলি ঝরার গোপন কান্না শুনি রাত জুড়ে ;
দিনে-রাতে মন আমার চেয়ে রয় বকুল মোড়ে –
স্বপ্ন মোর সত্যি হয় যেন-
করবী রাঙা ভোরে ঘুম ভাঙানো দোয়েলের শিশে,
জেগে দেখি আমায় জড়িয়ে আছে ঘুমের বেশে ;
............... যুদ্ধের শেষে ।