হিমেল স্পর্শ জানিয়ে দেয়- তার নিশ্চুপ আগমন ;
শুধু নীল ঠান্ডা সাদা হাতে জড়িয়ে নেবার পালা ।
উঠোন আর বারান্দাজুড়ে অগাধ সমুদ্রের নৃত্য,
সাথে ভুবনডাঙার ময়ূরপঙ্খী তিরতির করে কম্পমান ;
পিছনের মায়া ফেলে
শুধু তাতে পা বাড়ানো ।
সমস্ত চঞ্চলতা উৎসুকতা , যেন আজ
বৃন্ত হতে ফলের মতো ঝরে যায়- তার মায়া চুম্বনে ।
দিগন্তে ঝুলে থাকা কামরাঙা ফলের মতো-
তুমিও উধাও আজ ;
বুঝি পেয়েছো টের
অন্ধকারে যাত্রা মোর ।
অতিথির আঙুল জড়িয়ে চৌকাঠ পেরিয়ে,
মাটি-দিগন্তের আড়ালে মহাশূন্যের কোলে যেতে যেতে
দেখি – মুছে গিয়ে জীবনের সকল কুয়াশা আঁধার, জন্মের কান্না ;
জানালা বেয়ে জোছনা-রোদে নিঃসঙ্গ টেবিলের ‘পর খেলছে-
কত দুর্বিসহ রাতের যন্ত্রণায় গাঁথা
প্রত্যাখ্যাত সে ঝিনুক-নুড়ির মালা ;
স্পর্শবোধে, বনফুল শব্দে লেখা প্রেমপত্র
হেনার ভুরভুর গন্ধে এলানো চুলের কবিতা ।