তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম -তুমি কি করবে ?
যদি রাত্রি-যজ্ঞে স্বীয় ঘোটকী উপহার দিই ;
আর তুমি হও তার একমাত্র ঘোড়সওয়ার ।
যখন তার চোখ ক্রমশ চকচক হচ্ছিল,
তখন আমি বল্লাম -আমায় কি দেবে ?
অবশেষে আমি পারিনি মুখ এড়াতে ।
তাই জোছনার রুপোলি মেখলা সরিয়ে
সবুজ ঘাসের ‘পরে নেমে এল প্রগাঢ় চঞ্চলা ঘোটকী ;
যার অস্থিরতায় মাটি ও খুরের টক্ টক্ শব্দে
বাতাসের কান ভারি হতে থাকে ।
সে চমকে ওঠে বিস্ময়ে , এবং এবং
মুহুর্তে কালপুরুষ হতে তরবারি নিজের কোমরে এঁটে নেয়;
লাগাম টেনে ক্ষীপ্র ঘোটকী শান্ত হলে, থেমে যায় কৌতুহলী সব ভ্রু-কূটি ।
ধীরে ধীরে অন্ধকার মিলিয়ে যাবার আগে;
সর্বকালের সেরা সম্রাটের মতো ঝরিয়ে হাসি-
সেই রাত্রি-জোছনা, চাঁদ নক্ষত্রপুঞ্জ সব সব করেছিল আমার নামে ।