অনর্থক ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামলে
নীলাক্ষি, বেগুনী শাড়ি, নীল ছাতা;
ক্রমে ঝাপসা হয়ে দৃষ্টিআড়াল হলে- রাই,
অকস্মাৎ এক চিলতে ফুরফুরে পৃথিবী -
পাথুরে পাহাড় ।
মাটি-ঘাস-লতাপাতা ভিজে জবজবে সব, আর
আমি ,আমার ব্যালকনি , টবের বনসাই -
পুড়ে ছারখার ।
এভাবে হাসলে রাই !
আমার সব গুলিয়ে যায় –
শালুক-পদ্ম, নদী-সমুদ্দর
আকাশ-মাটি-ঘাস আর
ঘাসের ডগায় জমা শিশির ;
এ সবে যেন তোমারই ভঙ্গি ফুটে রয় -
কিছুতেই হয় না পৃথক আর ।
তোমাকে হয়নি বলা,
কত কৃষ্ণচূড়ার রঙে রাঙা যৌতুক আছে রাখা !
পুবদিক হতে নিঃসৃত সানাই-এর উদ্দীপনায়
ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামে না ;তাই নিঃশব্দে
ঝলমলে রাত্রির আকাশ চেয়ে দেখি – রাই আজ তুমি;
‘বিদিশার নিশা’ ।
অনেকদিন হয়ে গেছে
তবুও তোমারই জন্য- রাই !
কালো বইসনের মতো বুনো রাত পাশে নিয়ে
শব্দের ভেতর শব্দ খুঁজি- নদীর মতো;
এখন শুধু জলের কথাই লিখি ।