কবিতারানি তোমার সাম্রাজ্যের আকাশ হতে যখন
শিশিরের মতো শব্দেরা টুপ টুপ ঝরে পড়ে বুকের ‘পরে ;
তখন অতলে হারায় এ পৃথিবী । যেন ভেসে থাকি আমি-
কুমুদ ফোটা অনন্ত সরোবরে । নিয়ে তার স্বর্গীয় সুঘ্রাণ
ভুলে যাই পৃথিবীর বুকে তোমার-আমার লাঞ্ছিত দিনরাত ।
গোলপার্কে তোমাকে আমাকে নিয়ে চরম ষড়যন্ত্রের ইতিহাস ,
ভুলে যাই কবিতারানি ,রে আমার কবিতারানি ।
শতাব্দীর পুঞ্জ পুঞ্জ বেদনায় ভরা নীল ঝিল হতে,
উঠে এলে কারো হাত ধরে - তখন তুমি যেন সর্বহারা দুর্বোদ্ধ এক নারী ।
আমি দেখেছি বোরখাহারা তুমি যেন অনন্ত যৌবনা স্বরূপা ;আর
অতীত বর্তমানের সেতু পারাপার ,তুমিই ভবিষ্যতের পথচারিনী ।
বড়ো ভালোবাসি কবিতারানি ,রে আমার কবিতারানি ।
আতর সুরভি শব্দ শরীর তোমার
আমায় ভীষন পাগল করে উচ্ছল পেয়ালার মতো । তাই আমি
বারবার ফিরে আসি আমার কবিতারানির সম্রাট হতে । জানি
তোমার চোখে আমারই ভাষা , তবু চুপ করে থাকি…….
যদি পাছে লোকে কিছু বলে ।
তবুও বড়ো ভালোবাসি কবিতারানি ,রে আমার কবিতারানি ।