ঋদ্ধ ঋষির মতো ঝুরি নামিয়েছে এক বট গাছ,
তার শীতল ছায়ায় জুটেছে এক (মস্ত)কবির দল;
তাই (মস্ত) কবিতা লিখতে ব্যস্ত সব ।
কেউ বলছে মাটির মতো শব্দ ছেনে ছেনে,
কবিতা-পুতুল বানাবে ।
কেউ বা আকাশের মতো অসীম উদার কবিতা দেবে লিখে ।
বাতাসের মন্ত্রে কবিতা লিখে ভরাবে প্রাণ-
এমনি কারো ভাব ।
সহসা একজন ছুটে যায় নদীর পানে ,যেন
কলকল মুখরিত হয় তার কবিতা ।
অকস্মাৎ তার চিৎকারে ছুটে এলো সব,
দেখে এক অর্ধনগ্না বৃদ্ধা অচৈতন্যে ঘুমিয়ে আছে মাটির ‘পরে ।
একে একে বললো সবাই – কেউ দেখেনি তার মুখ ।
আবার সব ফিরে বটতলে- মশগুল হল কবিতা লেখায় ।
বিকেল হলে, কবিদের পাশ দিয়ে -
ঐ বৃদ্ধারে কাঁধে নিয়ে হেঁটে যায় এক চাষা ;
দেখে কবির দল বলে ওঠে- “এ্যাই ব্যাটা শোন?”
“আজ্ঞে” বলে থমকে দাঁড়ালে চাষা- “তুই চিনিস এই বুড়িটারে”?
“ হ্যাঁ……এ তো চপলা পাগলি ..
তোমরা একে কোথায় দেখলে বাবু?”
“………না মানে আমরা কোথায় দেখবো ?’
‘জানো বাবুরা……..আমার বুড়ি মার পাশে থাকলে- গল্প করে, খায়
আমাকে খোকা বলে ডাকে ।
তোমরা কারা গো ?”
“আমরা শহর থেকে আসা (মস্ত) কবির দল”
“তাইলে আমি যাই গো বাবু…..তোমরা (মস্ত মস্ত) কবিতা লেখ ।”
সবুজ ধানক্ষেত পেরিয়ে মিলিয়ে যায় চাষার পাগলি মায়ের মুখ;
তবুও (বুড়ো) কবির দল শব্দ খোঁজে বট তলায় ।