সেই ,
হেমন্তের মৃদু শিশিরমাখা সকালে
তোমার ঈষৎ হাসির ওম বুকে নিয়ে,
শীতের নির্মোকতলে- ছায়া ছায়া সে মুখের আদলে,
ছেঁড়া-ছেঁড়া হৃদয়ে বেঁচে থাকা ।
তাই ভাবছি এই শ্রাবণে-
লাভার পাত্রে চুমুক দিয়ে
চমকে দেবো ভীষন রকম । আর তখন যদি-
শক্ত করে জড়িয়ে ধরো আমায় ;
যদি বৃষ্টি ভেজা রাতে
নরম ঠোঁট ছূঁয়ে থাকে এ বুকের ‘পরে । ঠিক তখন
ভালোবাসার অজর মন্ত্রে ,কাঁচা শরীরে দেবো –
আগুন ! উল্কাপাতের আগুন !
তুমি সায় দিলে এই শ্রাবণে-
ছু’মন্তর ছু’মন্তর
ভিসুভিয়াসের অগ্নিদুয়ার
ভেঙে দেবো আঙুল ছূঁয়ে । আর তখন যদি
ঊর্ধ গ্রীবায় মেঘ খোঁজো,
ঝিনুক ঝিনুক বৃষ্টি দিয়ে দুলিয়ে দেবো সাগর-দোলায় ।
তুমি সায় দিলে এই শ্রাবণে-
অনেক অনেক কিছু হতে পারে, হতে পারে
পাথরের বুকে বীজের অঙ্কুরোদগম ।
**বরষার আয়োজন **