আমি রোজই দেখি - বৌদি তোমার,
পঁয়ত্রিশ ছূঁই ছূঁই কুমুদ আভা শরীর ;
লাল টিপের কপাল, নীলচে চোখ, বোলপুরি ক্লিপে আঁটা বড়ো খোঁপা
আর পিঠকাটা ব্লাউজ হতে উঁকি দেওয়া অন্তর্বাস
কখনো দখিনা হাওয়ায় শাড়িহারা নাভিপদ্ম ; দূর হতে
এ সব আমি দেখেছি কতদিন ; তবু
একদিনও কথা হয় না , তাই প্রতিদিন
এক করবী রঙা সূর্য এ বুকে আগুন জ্বালে ।
তোমার আগুনে পোড়া দিন, ঘামে ভেজা রাত
গত ইলেকশানে দু’হাত খোয়া স্বামী আর
দুই ছেলে-মেয়ের অথৈ বানভাসি সংসার ; এ সব আমি জানি –
যারা দেয়নি তোমায় এতটুকু বাঁচার উত্তাপ
যারা প্রতি রাতে ছেঁড়ে তোমার খোঁপার ফুল
তারাই যখন মুখ ফেরায় চরিত্রহীনা বেশ্যা বলে;
আমার ভীষন ঘেন্না আর প্রচন্ড রাগ হয়,
মনে মনে ওদের খুব গালি দিই - বলি ‘শালা ইতরের দল’
বিশ্বাস করো এর বেশি আমি পারি না ।
বৌদি !
আমার খুব ইচ্ছে, কখনো সময় পেলে –
তোমার কোনো এক রাত দিও আমায়
এই তারাভরা আকাশের নীচে সবুজ ঘাসে ঢাকা মাঠের ‘পরে ;
বিভোর হয়ে দেখবো ব্যথায় ভরা ঐ নীলচে মায়া চোখ
সেখান হতে খূঁজে নেবো কিছু নীল শব্দ ;আর
গুম হৃদয় পড়ে পড়ে লিখবো এক ঊষ্ণ প্রেমের কবিতা ;
যা নির্নিমেষ সপে দিতে পারি ঐ নরম দু’পায়ে ।
এইটুকু আমার ক্ষমতা এর বেশি আমি পারি না !
বৌদি তুমি, তুমিই
আমার সবচেয়ে প্রিয় এক কবিতা, বাঁচার নেশা ;
আমার চোখে তুমি-
মরুর বুকে ফোটা নাম না জানা এক হলুদ ফুল;
আর অজানা ঈশ্বরের তীব্র স্পর্শ শাঁস !