নারী শ্রমিকের কাজের মূল্য এখন পুরুষের নয় হয়,
কর্মক্ষেত্রে পুরুষ মহিলা কোন ভেদাভেদ নয়।    
কর্মজীবী নারী যতই অর্থ উপার্জন করুক,                        
তারা গৃহে পায় না কোনো সুখ!                      
স্বামীর অত্যাচারে তাঁরা বড়ই অতিষ্ঠ,
অবশেষে বাধ্য হয়ে সংসারটাকে করে বিনষ্ট।    
হানডেট পারসেন্ট সুখী গৃহে আছে ক’জনা,        
প্রতিটা ঘরে আছে অসুখী নারী দেখো করে যাচনা।
মহিলাদের সাহায্যে রয়েছে কত আইন,    
ঘরের কথা পরে জানবে ভেবে-
কোন কাগজে করে না সাইন।                                                    
স্বামীর সেবা অফিসের কাজে কিবা-
অধিক পরিশ্রমে কাটায় সে দিন;                                        
তাকে মাথায় করে রাখলেও -
স্বামীর শোধ হবে না ঋণ।
সত্যি কারের কথাটি হলো ভাই---,                    
মাস শেষে বেতনের সব টাকা-ই তাঁর চাই।  
  না দিলে সব মাইনে খেতে হয় কিল ও ঘুশি,          
কোন কাজে আজও তাঁরা করেছে কি খুশি?        
আরো কত কথা আছে মোদের জানা,              
স্বামীর শত অপরাধ নিঃশর্তে মোরা করিয়া মার্জানা,
এরপরও স্বামী করে কত নির্যাতন কেউ করে না মানা।
স্বামীর বাড়ির লোক এলে পরে বাজার ধরেনা ঘরে,
শ্বশুরবাড়ির লোক এলে পরে সহ্য হয় না মোটে;  
টাকা পয়সা নাই মোটেও কোথেকে উটকো ঝামেলা জোটে?                                                  
এই যদি হয় সংসারের অবস্থা তাহলে মোরা নারী-
কি করে সত্যিকারে সুখ দাবি করি?
রাত ভোর জেগে সন্তান প্রতিপালনে নারী,
জীবনের প্রথম শিক্ষা সন্তানকে দেয় নারী;
কি করে মোরা তাঁদের সাথে তুলনা করতে পারি?