শহর-নগর চেয়ে গেছে, দাঁড়িয়ে প্ল্যাকার্ড
                                  ঘাতক তোমার ফাঁসি চাই।
ফেসবুক-টুইটার, শাহবাগ প্রান্তরে, অজস্র কণ্ঠস্বর
                                 কাপুরুষ তোমার মৃত্যুদণ্ড চাই।
রাজনীতির আলাপে, জানাযার সারিতে, অশ্রু-হুংকার
                                  নরপশু তোমার ঠাঁই নাই।
প্রেসের কভারে, আইনের কালিতে, রুদ্রমূর্তি
                                  হায়েনা তোমার কতল চাই।
এসবের জোয়ার আসে, আছিয়া-তনুর প্রয়াণে
ভুলে যায় জনতা সুখ-দুঃখের বেড়াজালে কিংবা নতুন কোনো আহবানে।

হঠাৎ আবার কি হলো!
ঘাতক আসে পাড়ার কিংবা দলের কমিটিতে
নারী দিবসের প্রধান অতিথি নয়তো বিশিষ্ট পৃষ্ঠপোষক সাজে
হৃদয়ের খোলাখুলি, আবেগের ছড়াছড়ি, করতালি যত্রতত্র
”আমার ভাইয়ের চরিত্র, ফুলের মত পবিত্র।”

চোখে কি বিষম লাগে!
আইনসভায় কথিত নারীবাদীর গান শুধুই রাজার গুণগানে
আসে না তার কণ্ঠে বিশিষ্ট ঘাতক দমনে
হয় না কোনো আইন নরপশুর কতলে
উপরন্তু পদ-পদবি মেলে খ্যাতনামা সমাজসেবক মোড়কে।

আমার নেতার বুলি যায় চুপসে
যদি দেখে কর্মী তার ভুলে গেছে মানুষ হতে
মানবতার নামতা জপে ভার নামে স্রেফ বহিষ্কারে
গোপনে টিকেট দেয় রাতের জলসা ঘরের।

আবেগী পোস্টদারী প্রতিবাদী সুপুরুষ
ব্যভিচারে মেতেছে আধুনিক খোলসে
কথিত বন্ধু-বান্ধবী স্লোগান দেয়
”আরে ব্যাটা, এখন তো সময় বিলাসী বহরে।”

শপথ নিয়েছিল উকিলবাবু
নিবে না পাষণ্ডের পক্ষ
লোভ-লালসায় ভুলে গিয়ে ওথ
করেছে জালিমকে মুক্ত।

এভাবে নেমে পড়ি, আমি-তুমি-সে
                   ঘাতকের পুনর্বাসনে
কতশত ছলে অমান্য করি
                  বিধির বিধানকে।

যুগে যুগে ধ্বংস অসভ্য জাতি
লিখা আছে সৃষ্টির ইতিহাসে।