(১)
অর্থ নয় পরিস্থিতি বুঝো
হাসি নয় কান্নাকে বুঝো,
যে কেউ তোমাকে ধুম্রপানের পরামর্শ দিবে
মাগার ক্যান্সারের রক্ত শুধু তোমাকেই খুঁজবে।।

(২)
একোন বাঁকে পথ হারিয়ে
      চিন্তাগুলো খাচ্ছে ধোঁকা!
মরীচিকায় দৃষ্টি ভ্রমে
    ক্লান্ত দেহ রিক্ততায় দিশেহারা।
গত ওই মিষ্টি হাসি ডাকছে পিছু
        মানছে না এই সাঙ্গ যে লীলা!
মিথ্যে মায়ায় যুক্তি বহু
     ঠুনকো সবি, বিলীন তোমার স্বকীয়তা।

(৩)
এভাবেও হারায়, নগরের ইট-সুরকিতে
নাম-ঠিকানা ভেস্তে দিয়ে, নতুনের খোঁজে।
কোন এক বিকেল ছিল, হিজল-বটের গাঁয়ে
এখনো বসন্তের দূত আসে, ফিরে শ্রোতাহীন ভারাক্রান্ত স্বরে।

(৪)
পণ করেছে শুকনো পাতা মরিবার আগে বৃষ্টি চায়
অভিমানী মেঘমালা তবুও সূর্যকে না লুকায়,
অহি-নকুল এই যুদ্ধে হাসে বসন্ত বাতাস
আক্ষেপে পুড়ে, "ব্যর্থ হওয়ায় সুখ" কহে দীর্ঘশ্বাস।

(৫)
কখনো রাগ ঠান্ডা ভাতে
       কখনো গরম ভাপে,
সেথায় এখন নিরব চাহনি
নোনাজল মাখে পান্তাভাতে।

(৬)
কিছু খ্যাতি অল্প করে নিও
দুনিয়া খেয়ে বমির চেয়ে
                   উপোস না হয় থেকো।
ভিড়ের হাতে হাত না রেখে
ইরাটোস্থিনিস কিংবা কাটাকুটি খেলো।

(৭)
আমার দেশে তোমার মেলা
                সং সেজেছে কে?
তোমায় আবার পুষ্পা ডেকে
                 রং ছুড়েছে কে?

(৮)
দেখেছি অনেক শূন্য খাতায় ভুঁড়ি ভুঁড়ি স্বপ্ন
দেখেছি অনেক নীল খামে ঠিকানাহীন পত্র
শুনেছি অনেক ঘামের গন্ধে বিত্ত কত উচ্চ
শুনেছি অনেক ছন্নছাড়া জীবন কত নিঃস্ব
তবু সকাল-বিকাল হিসেব ভুলে ভাবে ভাবে মত্ত
শেষ বিকেলে অট্টহেসে ভিতর বলে-
                                              "বেটা তুই নষ্ট।"

(৯)
চোরাকাটায় খুন হয়েছে
বুনো হাওয়ায় বন্যলতা চাই
রুক্ষ ত্বকে চিড় ধরেছে
শালের ডগায় শিশিরবিন্দু চাই।।

(১০)
এই শহরের একটি কোণে হাজার অলক্ষণে
তবু তুমি বার বার যাও সরল হিসাব গুনে
কবে কাহার ধন হয়েছে!
            এই আকাশ-কুসুম ভেবে
       আমার আজ চুল পেকেছে তোমায় তোমায় দেখে।