রিকশার চাকা ঘুরে,
দাদা তাকিয়ে এক-চিত্তে গোরস্থানে।
ধ্যান শেষে বলে কবরে কবরে কত আলাপ।
কত চিৎকার, ঘুম জনে জনে।
আমরা দেখি না কিছু,
শুধু নিথর দেহ মাটি চাপা পরে।
শোনো কত চিৎকার এখানে,
মহাকালের মিছিল তুলে কান্না করে।
কত সভ্যতা শেষ পোকার গানে।
শোনো ঐ নিস্পন্দ ঘুমে নিস্তব্ধতা,
কত বক্তার কণ্ঠে অনন্ত জড়তা।
কত নবাব ভৃত্য,
একই পালঙ্কে ঘুমোয় সদা নিত্য।
আমিও ঘুমাবো,
নয় পোকার শব্দে ঘুম ভেঙে,
চিৎকারে সুর মেলাবো।
যদি শুনতে পাও সেই শব্দ,হবে স্তব্ধ।
তোমার অনন্ত সুর ঐ গোরস্থানে,
কলমা জনে জনে।
শোনো ঐ কবরের চিৎকার,
শব্দের নিঃশব্দে কত অহংকার।
সন্ধ্যায় বকুলের গন্ধে,
তাঁরার জলন্ত ঘুমে মৌনতার কাছে,
সাধু সন্ন্যাসীর ঘুম গোরস্থানে।
অন্ধকারে কালো বক্ষে কানা ছন্দে যে প্রাণ,
তেমন ভয়াল চাপে গোরস্থানে পাপী সন্তান
পূর্ণিমা রাতে ঘাসের সাথে,
লতা-পাতার চাদর তলে,
পোকার বাসে যতো উচ্ছ্বাস আসে।
মাটির ঘ্রাণে কবর বাসে,
গোরস্থানে জোনাক হাসে।
দাদা বলে শোনো দাদু,
সবাই পাবে ঐ গোরস্থানে একটি ঘর।
যেখানে আলোর রং অন্ধকার,
চেতনার রং অবচেতন ;
শব্দের রং বিচিত্র;
তাই শোনো দাদু শোনো।