মেঘ গুর গুর তপ্ত রোদ্দুর, এসব এখন শেষ
শিউলি ফুলের মিষ্টি গন্ধে, এ যেন স্বপ্নের দেশ।
এসেছে জগৎ জননী, মাতিয়ে সারা ভুবন
সকলের মনে এনেছে, নুতন শতকত স্বপন।
পটকা আর বাজির বিকট সব আওয়াজে
সংগীত আর ভ্রমরের সুরের মধুর রেওয়াজে।
এক বছরের পিপাসা মিটিয়েছে, স্নিগ্ধ কুয়াশা
এসেছে শরৎ, নিয়ে যেন এক নুতন দৈব ভাষা।
দশ হাতে দশভূজা মোদের জগৎ জননী
সিংহের পিঠে চড়ে মা হলেন মহিষাসুরমর্দিনী।
ডানপাশে লক্ষ্মী গণেশ, বামে সরস্বতী কার্তিক
মস্তকাপাড়ে বিরাজমান মঙ্গলময় দেব সাত্ত্বিক।
পঞ্চমীতে পা রাখেন মা, ষষ্ঠীতে প্রাণ হয় সৃষ্টি
শুধু মন ভাবে, বাকি কয়দিন না হয় যেন বৃষ্টি।
দশমীর দিন সকলের চোখে আসে জল
চলে যাবে মা সবকিছু করে দিয়ে নিশ্চল।
তবু আশা মনে, আবারও ফিরে এস তুমি
ভুবন মাতিয়ে তুলো, তোমার মধুর বাণী।
সৃষ্টি কর সকলের মধ্যে মহর্ষি প্রাণের ছটা
যেমন জাহ্নবী নেমেছে, হয়ে শঙ্করের জটা।
যেন গাইতে পারি সকলে মিলে সাম্যের গান
যেন দিতে পারি আত্ম-পাপের অগ্নিস্নান।
ভূমন্ডলের যত বিদ্বেষ, সব কেড়ে নাও
শুধু, শান্তি দাও, শান্তি দাও, শান্তি দাও।