কতটা নির্মম নিমজ্জিত সত্য'
নির্মম ভয়াবহ না হলে সহজে কি রটত!
গল্পগুলো' সাজানো সময়ের কথা নাইবা জানো,
বর্তমান স্বকর্মের বেড়ায়, ভবিষ্যৎ কেইবা জানো?
আমি বলছি' সেই পরিবারের কথা'
সততা, দেখিয়েছিলেন রজত মিয়া'
চাকরী হারিয়ে' ব্যাথায় পুড়ে হিয়া।
কাজের বড্ড অভাব ছিলো সে সময়
করুণ ছাপ চোখে' মায়ের মন যে মমতাময়,
রজত মিয়া, সে রাতগুলোতে অনাহারি' রয়
আমি জানতাম' গরিবরা সুখি হয়,
এতটা বিষাদ যে সেথায় রয়!!
সকালে উঠে ভোরবেলা রজত মিয়া তাঁর
চন্দ্রমুখী' গিন্নিরে কয়,
আজ উনুন জ্বালালে না যে??
লক্ষ্যীরঘট শুন্য হয়ে গেছে যে
রজত মিয়া করুণ দুইচোখে তাকিয়ে রয়।
সে বাড়ির পথ বেয়ে কত গন্তব্যে পৌঁছলাম'
বাড়িটির' মানুষগুলোর মুখে,
সদা হাসিই' দেখেছিলাম।
চাঁদলক্ষি, বিষাদ কোথায় বাস করে,
আত্মাগহ্বরে আর মগজে স্নায়ুতন্ত্রে।
রজত মিয়ার অভাববেই দিনগুলো যায়,
চুরি, ডাকাতি করতে বিবকেসায় না দেয়
তাই বুঝি রজত মিয়া ভালোসময়ের অপেক্ষায়।
খারাপ সময়ে পাশে থাকার মত মানুষ, করিম মিয়া,
তাঁর মুদির দোকান' গত কয়েকদিনে বাকি অনেক'
আজ সকালেও রজত মিয়ার ছেলে বাকি চাইতে'
করিমের দোকানে' অনেক বাকি আগের পাওনা
শোধ করো, তারপর রেশন পাবে'
তাঁর পাশের দোকানদার অপমান
করে কটুক্তি করে তাড়িয়ে দিয়েছিলো,
অনেক অনুরোধের পরে,
করিম মিয়া রেশন দিয়েছিলো।
খারাপ সময় নিমজ্জিত সত্য আসবেই'
তাইবোলে নিজেকে বিক্রি করতে নেই।
রিজিক এর মালিক তিনি'
সবসময় পাশে থাকেন যিনি' আল্লাহ'
আল্লাহু আকবার!!