এলো বলে অজান্তেই চলে যাবার ভয় কিসের?
দুঃখগুলো জমুক' আরও আর্তনাদে মজুক,
তবেই যেয়ো চলে।
কাকেদের সমাবেশে সভাপতিত্ব করি,
তাঁরা উৎসব করে মৃত্যুর গান গায়,
ঠিক ছেড়ে যাওয়ার পরেই।
ঠিক মাঝরাতে ঘর্মাক্ত শরীরে দেয়ালে হেলান দিয়ে,
দুইচোখ ভিজিয়ে কাঁদলেই মনটা হালকা হয়।
অল্প জীবনে সামান্য ওজনের
আত্মায় এত বিষাদ, জমা করছি কেনো?
আত্মাটুকু মরে গেলে ভেঙ্গে গেলে,
মস্তিষ্কের স্নায়ুযুদ্ধ চলবে কেমনে!

নীলখামের ঐ চিঠিটুকুতেই সম্বলহীনতা প্রকাশ,
আত্মা আহত করছি, হয়নি তো ঠিকঠাক বিকাশ।

অন্ধকারে রাজত্ব কায়েম করার শখ,
আলোটুকু'কে বন্দী করি কৃষ্ণগহ্বরে।
তবে আত্মার আলোটুকু আত্মাতেই রাখি জ্বেলে,
নয়ত ইহজগতের মায়াজালে পথ ভুলে যাবো তো।

পৃথিবীর' বুকে ঐ মানুষগুলোর দুঃখ'
আমি' চাঁদের দুঃখ'
আমার সব আলোটুকু তাঁদের পথ দেখানোর জন্য,
কৃষ্ণগহ্বরে যারা আলোটুকু বন্দী করে'
তাঁদের ঐ আলো টুকু আমি খুঁজে আনি,
বৃষ্টির মত বর্ষাই তাদের অস্তিত্বে।
আমি চাঁদ'
পৃথিবীর সমস্ত অন্ধকার জমাই,
জমাই রোজ বিষাদ!
কখনোৌ পুর্ণিমার চাঁদ,
কভু মাথার উপর আমাবস্যার ছাদ।

সংক্ষিপ্ত