যেথায় আসমান সবটুকু রঙ বিসর্জন দেয়'
ঘাসের সমস্ত কুয়াশাটুকু' শুষে নেয়।
রোদ উঠলেই সেথায় মরীচিকা আসে,
আসে পিশাচ, করে মুক্তির' মিছিল।
রঙীন মানুষগুলো ঘুড়ি উড়ায় ভালোবাসা'র
সুতোটুকু ছিড়ে গেলেই' নুইয়ে পড়ে মানুষ'।
ক্ষত বিক্ষত করে আত্মা, বিষাদি সুর'
রক্তাক্ত অনুভূতি, এলোমেলো মগজ-
লোকচক্ষুর আড়াল হয়ে যায় মানুষগুলো'।
যোগাযোগের সমস্ত দরজা আটকিয়ে ফেলে,
ঘরের কোনায়' চারিদিকের দেয়াল ঘেঁষে,
কাঁদে' তাঁরা  ডুকরে কাঁদে' কেউ বুঝে না
কান্নার আওয়াজ ফুটে উঠে না।

অতঃপর আমি মেঘ' শুষে নেওয়া সমস্ত রঙ'
সমস্ত কুয়াশা একত্রে বরফ বানাই'
বানাই সেই অমর অস্ত্রখানি' বৃষ্টি'
বৃষ্টি বর্ষায় সেই মানুষগুলোর নীড়ে'
তাঁরা বের হয়' বৃষ্টিতে ভেঁজার অযুহাতে'
কাঁদে, কেউ ডুকরে, কেউ চোখ হতে রক্ত ঝরায়,
পরে চোখের পাণিটুকু' আড়াল করে,
আমি নিঃশেষ হই' তাঁদের করুণ সঙ্গী হই।
মানুষের দুঃখ' কত্ত ভয়ানক!
জগতের সমস্ত মানুষ' সুখে থাকুক!
চোখে পাণি আসুক' সুখের।