চাঁদের আত্মকথা' ০১
পৃথিবী নামক ঠুনকো গ্রহে আমি চাঁদ!.
জগতের সমস্ত কবি লেখকদের সেই অমর অস্ত্রটি।
আমায় সবাই অনেক নামে ডাকে,
কেউ বলে প্রিয়সীর চোখ' কেউ বানায় কপলের টিপ, আমায় প্রেমীকগণ পেড়েও আনতে চায়, প্রিয়তমাকে উপহার করবে বলে।
আমার উজ্জ্বলতাকে প্রিয়তমার হাসি বানায়'
আমাতে আমাবস্যা, কত্ত মানুষের বিষাদী সুর।
চাঁদ নদীর কিনারা প্রেমীক/প্রেমীকা সাবলীল আবহাওয়া অমর মুহূর্ত সৃষ্টি হয় জমিনের বুকে।
আমিও উপভোগ করি, যতটা তাঁরা হয়ত বেশি!
জমিনের বুকে গজানো ঠুনকো ধনীশ্রেণী আমায়
আরও ধনী বানায়, বলে-বামন হয়ে চাঁদে হাত!
আমায় দেখে মানুষগন সময় সাজায়, সাজায় বিশ্বজাহান উৎসবে মাতবে বলে।
কত মেধাবীগণ আমায় নিয়ে গবেষণা পরীক্ষণ, প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে, আমাতে থাকা,
রহস্য উন্মোচন করতে,
সমুদ্রের জোয়ার ভাঁটা আমাতে নির্ভরশীল।
আর আমি সেই মানুষগুলোর চোখে চেয়ে থাকি'
যারা আমার মতই এঁকা!
সমস্ত রঙের বিষাদ নিয়ে সেই মানুষগুলো'
নদী, সমুদ্র, প্রকৃতির নির্জনতায় আমায় উপভোগ, করে, বিশ্বাস করে করুণ চোখে,
চেয়ে থাকে আমার পানে।
আমি ব্যাতীত তাঁরা সমাজ হতে বঞ্চিত পাগল শ্রেণী
আচ্ছাহ' করুণ বাস্তবতায় সময় যাদেরকে পাগল বানায় তাঁরাও কি চাঁদ' দেখে?
আমি চাঁদ,
আমাতে ভর করুক আমার পৃথীবির সমস্ত বিষাদ,
সমস্ত বিষাদ।
সংক্ষিপ্ত