একাত্তরের স্মরণে, বিজয়ি রক্তে চিৎকার!
এই তো সেদিন, কত আত্মার ভয়াবহ আত্মচিৎকার।
জননী মাতা কত খুশি ছিল নতুন অতিথির,
আগমন হবে কোলজুড়াবে মায়া ছড়াবে,
মায়ামাখা মুখ দেখে অজস্র ব্যথা ভুলাবে,
অপূর্ণ থেকে গেলো সব বটে,
মরে গেলো মা! শিশু রয়ে গেলো পেটে,
হানাদারদের নির্মম ধ্বংসে এ ঘটনা ঘটে।
স্বামি শহর থেকে বাড়ি ফিরবে...
বউ অপেক্ষায় বসে থাকে নদীর ঘাটে,
বুলেটের স্রোতে, স্বামির রক্তমাখা শরীর রাস্তায়,
বউ অপেক্ষায় আজও নদীর ঘাটে,
পাকিস্তানি নরপশুদের হাতে এ ঘটনা ঘটে।
ছেলে মা" কে দেখে না বহুকাল,
মা" বলে খোকা আমি আসছি আগামীকাল,
স্টেশনে দাড়িয়ে ছেলে, মধুর সকাল-
সাক্ষী মহাকাল, পড়ে আছে মায়ের রক্তমাখা
দেহ, ছেলের নির্মম তীব্র ধ্বংসাত্মক হাহাকার।
মা রান্না করেছিলো রকমারি খাবার,
খোকা/খুকি যে পছন্দ করে ভিষণ এ খাবার,
কখন ফিরবে তারা অপেক্ষায় বসে,
ফিরলো না খোকা/খুকি রয়ে গেল রান্না,
পড়ে আছে জননী মা"।
২৫ শে মার্চ সহ সেসব দিনে শহরে গ্রামে,
পাকিস্তানি নরপশুদের পরিকল্পনায়,
এ নির্মম হত্যাকাণ্ড চলে।
বঙ্গ বন্ধুর ধ্বংসাত্মক ৭ই মার্চের বাণিতে,
বাংলার মানুষ, চলে আসে এক সারিতে।
তারা নিজের সবটুকু বিসর্জন দিয়েছে,
আমাদের দিয়েছে উপহার স্বাধীনতা!
কয়েক সমুদ্র কৃতজ্ঞতা, জানাই তাঁদের।
তাদের বিসর্জনেই আমরা পেয়েছি
প্রশস্ত আকাশ, মুক্ত স্বাধীনতা।