হ্যা! আমিও প্রেমে পড়েছিলাম মুক্ত বিহনে স্বাধীন বাংলায় স্বাধীন আত্মা নিয়ে।
আমিও হাটতাম মেঘে মেঘে,
আমিও বাসিন্দা ছিলাম নীল আসমানের,
আমার প্রতিবেশি ছিলো মেঘের পরীসব।
আমিও প্রেমে পড়ে পাগলামী করেছিলাম
খুব, এঁকেছিলাম একবুক আশায় ভরা সমুদ্র,
সে সমুদ্রে আমি ছিলাম শাসক বাদশাহ,
আমার প্রজারা ছিলো, সমুদ্রের সকল প্রেমীক,
তাদের নিয়ে আমি কবিতা লিখতাম রোজ,
তারা আমায় উপাধি দিয়েছিল, প্রেমময় শাসক।
আমিও তাঁর প্রেমে পড়ে, চোখে স্বপ্ন আঁকতাম
স্বপ্নে সমুদ্র ভ্রমনে যেতাম অনায়াসেই,
মেঘের কোণে বসে গল্প করতাম
আকাশের নীল দিয়ে তাঁর
কপলে টিপ আঁকতাম!
সুর্য়কমল কৃষ্ণচূড়া তাঁর খোপায় গুজে দিতাম,
তাঁর হাতে পরায়ে দিতাম
রক্ত শুকানো লাল রক্তিম চুড়ি!
পায়ে সবুজের' পায়েল।
মেঘের দেশের পাহাড় আমাদের
পরিচিত ছিলো ভিষণ
সেখানে, সে' পাখিদের সাথে খেলত
প্রজাপতিরা' এসে বসত তাঁর কোমল শরীরে!
সিংহ একচোখে চেয়ে থাকত, তাঁর পানে!
আমার মনে পড়ে সেদিনের কথা!
সে পাহাড়ের পাদদেশে বসে ছিলো,
হঠাৎ ই এক নাবিক' তাঁর রুপের ঝলকে
দিশা হারিয়ে কৌশলে জাহাজ ডুবিয়ে ফেল্লো।
আমি সাক্ষি সে পাহাড়ের যে পথে হাঁটত,
সে পথের মরা গাছগুলো জীবন ফিরে পেত,
আপনি বলতে পারেন মিথ্যে আমি বলব এর
চেয়েও করুণ সত্য সে আমার প্রজাপতি'।
পাহাড়ের গহীনে শিকারী যুদ্ধংদেহী
বীভৎসতা শিকারী ভুলে যেত,
যখন তাঁর চোখে শিকারীর চোখ পড়ত।
তাঁর" গড়ণে চলনে চোখের মায়াতে
আসক্ত হয়ে গহীন বনে হারিয়ে যাওয়া রাখাল যুবকের রোজকার কাজ।
তাঁর চোখের তীক্ষ্ণতা এতই শক্তিশালী ছিল যে
অসীম আসমান হতে ঈগলও থমকে যেত।
তার মুখের মায়া এতটাই করুণ ছিলো যে'
প্রেমের যত ইতিহাস রচনা, সে মায়া' হতে।
তাঁর শরীরের রং এতটাই ভয়ংকর ছিল যে,
তাঁরে পেতে যুদ্ধের প্রয়োজন মনে করেছিলো,
রাজা দশানন, চেঙ্গিস রাম সহ আরও অনেকে।
আমিও প্রেমে পড়েছিলাম তাঁর'
বানিয়ছি এই করুণ কবিতা'।
তাঁরে হারিয়েছে, দশানন চেঙ্গিস রাম
আপনারাই বলেন আমি ক্ষুদ্র কবি'
তাঁরে কি পাওয়ার যোগ্যতা রাখি?