চাঁদলক্ষি,
ভালোবাসা কি আর এমনি এমনি হয়?
ভালোবেসে প্রিয়মানুষটার হাত ধরতে শিখতে হয়,
আদুরে, হাতে আলতো স্পর্শে খোপায় একটা ফুল গুজে দিতে জানতে হয়।
যত্নের হাতে কাছে টেনে শুভ স্পর্শে তাঁর কপলে
একটা সুখ চুমু আঁকতেই হবে।
যত্নের চাঁদরে মুড়িয়ে সুখের ঘুম
পাড়াতে জানতে হয়,
ক্লান্ত কোলে একটা অমৃত আলিঙ্গন আঁকতে হয়।
মাথায় ভরসার হাতটুকুও বুলিয়ে দিতে হয়,
যত্নে তাঁর শাড়ির আচল টুকুও সামলে রাখতে হয়।
তাঁর, এলোচুল পরম যত্নের হাতে কানে
গুজে দিতে জানতে হয়।
খরা রোদে পরস্পরের ছায়া হতে হয়, চোখের চাহনীতে কথপোকথন করতে শিখতে হয়।
বড্ড অভিমান যে আঁকতে হবে, তা কিন্ত নয়,
ভালোবাসা যেনো অভিমানের চেয়ে
লাখ ও গুন বেশি থাকে,
যত্নের হাতে একটু খাইয়ে দিতে হয়,
টঙের দোকানের চা অথবা ফুচকা যদি হয়
মন্দ হয় না তাতে,
পাশাপাশি হাত ধরে হাঁটতে শিখতে হয়,
পরস্পরকে এক আসমান ভরসা আর বিশ্বাসের
শক্ত শেকলে বাধতে জানতে হয়।
বোঝাপোড়াটাও যেনো, ভালোবাসার মতই হয়।
আর হ্যা' চাঁদলক্ষি অপেক্ষা করতে জানতে হয়,
বহুকাল/বহুজন্ম-
বিলীন গড়ন যেনো না আসে পরস্পরের মাঝে, কেউ যেন কাউকে ছেড়ে যেতে না পারে।
পরস্পরেরর আত্মার আর মগজের টান মায়া রাখতে হয়, করতে হয়।