খোলা গগনের পানে চেয়ে মনে হল
জীবন বড়ই সুন্দর;
যন্ত্রনা সব বুকের মাঝে বন্দি,
এই বুকের ভেতর আছে এক যন্ত্রণার ঘর।
ফুটন্ত ফুলের পানে তাকিয়ে বুঝি
আসল রূপ তো এখানেই
মজেছি নিত্য নারীর রূপে অবান্তর;
সমুদ্রের ধ্বনি শ্রবণ করি, মধুর সে সুর,
সুর যেন একেই বলে, সঙ্গীত আজ বর্বর।
প্রাসাদের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ
শীতল করেনি মন,
স্নিগ্ধ করেছে প্রাণ, নীল সমুদ্রের বালুচর।
অগোছালো করেনি জীবন
কোনো অমুকের হয়ে যাওয়া পর,
এক শ্রাবণ বেলায় ভেঙে দিয়েছে মন
আচমকা এক স্মৃতির ঝর।
বৃষ্টির ঝিরি ঝিরি আওয়াজে খুঁজে পেলাম ছন্দ
যা এতদিন খুঁজেছি কবিতায়।
নারীর নূপুরের নিক্কন শব্দ
খুঁজে পেয়েছি শিলা ধারায়।
পারফিউমের সুবাসে তো
নেই কিছু মন মুগ্ধ করায়,
সুবাসে আমি হয়েছি মুগ্ধ
পাশের বাড়ির হাসনা হেনায়।
সুখি হয়েছো তোমরা সোনা, মনি, মুক্তো তে
আমি যে পেয়েছি সুখ ঘাসের ওপর
পরে থাকা শিশির বিন্দু তে।
ঘরের বাতি নিভিয়ে যদি জানালা খুলে দাঁড়ায়,
এমন আলো কি আছে কোথাও
যেমন চাঁদের জোছনা ধারায়।
জীবনের আলো খুঁজে পাওয়া যায়
প্রভাতে উষার বেলায়।
শান্ত হয় ব্যথিত মন
রাত্রে ঝিঁঝির গান শুনে
একাকী জীবন তবু কাটে সময়
রাতের আকাশের তারা গুনে গুনে।
উষ্ণ হৃদয় শান্ত করে অশরীরী দক্ষিণা পবন
জীবনের কোথায় এত মায়া আছে
যেমতি আছে গোধূলি লগন।
কলের জলে স্নান, তাকে কি স্নান বলে!
সে তো শুধু গাত্র করে শুদ্ধ
ঝরনা ধারায় মেলে প্রকৃত স্নান
মন কে করে বিশুদ্ধ।
জীবনের অভাব কোথায়
কোথাও কিছু তো নেই কম;
চোখ খুলে দেখো, প্রকৃতিতে সবই আছে
হয়ে সব কিছুর পরিপূরক।
৩০ মে ২০২১
দুপুর ৩:৪১ মি.
ঢাকা