এ কেমন বিষাদ এলো জীবনের দ্বারে
ধীরে ধীরে সদা,ক্ষইতে দেখছি আপনারে।
জলছে হিয়া বিভীষিকা সম
হারিয়ে গিয়াছে প্রশান্তি মম
রয়েছি একলা একাকী
খাঁচার পাখির মত, পৃথিবীর দীঘি পাড়ে।
নিঠুর দুনিয়া বাধা দিয়ে রাখে
মেলতে পারি না ডানা,
উড়তে পারি না শখের আকাশে।
কত পাখি উড়ে,
কত পাখি ঝরে পরে ঝাকে ঝাকে
মানবের গুলির আঘাতে।
কেবলি মরনের ঘ্রান ভেসে যায় বাতাসে।
পৃথিবী থেকে আজ মুক্তি চাই
চাই আমি আরেক টা জনম।
যত শীঘ্রই যেতে চাই দুনিয়া থেকে
তারও পূর্বে হয় যেন মরন।
পৃথ্বীর জানালা তে
উঁকি দিয়ে দেখি,
ডাকছে শান্তির ঠিকানা।
এ জিবনে আমার
নেই তেমন কিছু
ভবিষ্যত আধার অজানা।
চারিদিকে চাই দিগন্তের,
সবকিছুর সীমা মিলে যায়।
পাইনা কোনো ফাঁক কোনো দিকে
কিভাবে এখান হতে পালাবো হায়।
পৃথ্বীর জানালা খুঁজে না পাই কোনো দিকে।
সে জানালা আমি খুঁজে নাহি পাই
যত দূর দৌড়ে যেখানেতেই যাই
ব্যার্থতা নিয়ে ফিরে আসি হায়,
মরন ছারা মুক্তির উপায় যে নাই।
ভাগ্য যে দিল এক অতৃপ্তের ঝড়
ঢুকছে কবরে হায়; বিষন্নতার ঘড়।
মনেতে ঢুকেছে কু চিন্তার বিষ
যতই ভাবি, খায় না ভাবনার মিল মিশ;
মিশে যাই আমি দুশ্চিন্তার মাঝে
বলিতে পারি না কিছু
সে কোন লাজে !
তোমারে লয়ে যে জেগেছে লালসা,
মেটাতে না পেরে আমি দিশেহারা।
অন্যের ভোগে যাবে,
মোর আঁখি সমুখে;
যানি না মরিবো কত
দূর্দশার দুঃখে।
দিবা নিশি শুধু যেন
এই মোর ভাবনা।
যতই ভাবি করছে সদা
মস্তক জুরে যন্ত্রনা
১২ জানুয়ারী, ২০১৬
ময়মনসিংহ