রাত্রীর আকাশে জ্বলছে যে চাঁদ।
   আমায় কি তোমার মনে পড়ছে !
একলা কোনের ঘরে পুরছি আমি,
   মন কি তোমার খোঁজ পাচ্ছে
ধীরে ধীরে কান্নায় গান গাইছি আমি,
   কান কি তোমার শুনতে পাচ্ছে !
শূন্য তোমার বুক, করুন হৃদয়
       আমায় কি জড়াতে চাইছে !

একটি সুর কানে বাজে ক্ষিন হয়ে
  সে সুর বড় গোপন,
ডাক দিচ্ছে অতীতের,
গান টি ছিল সুখের গান, কিন্তু
   তার সুর আজ বাজছে করুন রূপে
একটি সুর আসছে ক্ষীন হয়ে।

   বদ্ধ ঘড়ের ভাঙা জানালার কোনে
যেথায় আলো আসে, সেই টুকু তে
       মুখ দিয়ে আমি শুনছি, সেই করুন সুর।
সেই সুর আমার মুখে ফোটাচ্ছে মুচকি হাসি
       জানালা ঢলে পরছে চাঁদের আলো,
রাত্রীর বুকে বাজছে ঝিঝির বাঁশি
           মনে আনছে অতীত দিনের কথা।
     বাহিরে উজ্জল জোছনা,
               তবু আমার ঘর টা অন্ধকারে ঢাকা।
   সেই জানালার গ্রীলের ফাঁক দিয়ে
   আমার মলিন হস্ত দুখানা মেলে
ধরতে চাইছি চাঁদ টা কে করূন করে
      তোমাকেই দেখতে পাচ্ছি চাঁদের মাঝে।

মনে পরে যাচ্ছে একটি দৃশ্যের কথা
পাখিরা উড়ছে নীল আকাশে
চলছে আলোর খেলা, সূর্যের গ্রহন,
চঞ্চল দুটি মোন, অশান্ত দুটি প্রান,
একে অপর কে করছে আকুল আবেদন।
         জলের ওপর দুলছে ছোট নৌকা
সেই নৌকায় তুমি আর আমি,
        ঢেউ এসে দিচ্ছে হালকা টোকা
তোমার রূপের ঝলকানিতে    
              আমি হয়ে পড়ছি মাতোয়াড়া,
আমার মিষ্টি কথার বশে
করছি তোমায় পাগলপারা।

       এমনি এক মিষ্টি অধ্যায়
       যানি না কেমন করে
ছিটকে পরল জিবন থেকে।
নিক্ষেপিত হলাম এক নরকে
যেথায় জিবন পঁচে অতীতের সুখের ধাকে
              এ কেমন নরক!
যেথায় অনলে মন পোড়ে দেহের বদলে
     সর্পের বদলে দংশে মস্তক ঘুন পোকা।
     মাথায় সহস্র ঝিঁঝি পোকা ডেকে বলে
       তোমার নাম, গুন গুন করে।
    এ নরক ভালবাসার নরক,
    ভালবাসলে এমন নরক পাওয়া যায়।

এ সান্তনাতেই চুপচাপ হয়ে
সকল যাতনা যাচ্ছি শয়ে
নিরব এক জিবন নিয়ে
আকাশের পানে চেয়ে থেকে থেকে;
      এক মনে দু হাত বাড়িয়ে
      ঝরিয়ে যাচ্ছি অশ্রু প্রপাত।
          বহু দূর হতে হাতছানি দিয়ে
          রূপের শত আধার নিয়ে
          আমার অতীতের সাক্ষী হয়ে
          দূর আকাশে জ্বলছে চাঁদ।
    
          

                                      ১৯ অক্টোবর ২০১৮
                                      দুপুর ৩ টা ২২ মি,
                                               ঢাকা