রক্তস্নাত তরবারি ন্যায় ডান হাতপ চেপে
ধরে আছি তিনটি গাঢ় রক্ত গোলাপ।
আহত এক যোদ্ধার মত বাঁচার প্রতীক্ষায়,
দুর্বল দেহে অবনত নয়নের একরাশ বিলাপ--
শরৎের ধুসর মেঘের মত স্পষ্ট।
তর-তাজা গোলাপ ডাঁটের কাঁটা -----
আঙ্গুলের চামড়া ভেদ করে রক্ত কণিকাদের
প্রস্রবণেরর পথ রচনা করে দিয়েছে।
তারা উদ্বত্ত সাহসে মার্চ করতে করতে
গোলাপের উপর আছড়ে পড়ে; আবার
সহসা মাটিতে মিশে যায়।
তবুও গোলাপ তিনটি হাত থেকে খসে পড়েনি।
এই দুর্বহ দেহ আশাহীন হয়ে মাটিতে পড়ে যায়নি।
হাতের এই তিনটি গোলাপ তিন কুঁড়ির প্রতীক।
সবটা নিয়ে আজ তোমার মুখমুখি হবো আমি,
গুপ্তচরের মত আর ঐ চৌমোহনায় গমন করব না।
জীবনের সকল ছন্দঃপতনের সমাপ্তি টেনে-----
ছন্দবদ্ধ নিষ্কলুষ গদ্যের ন্যায় প্রচ্ছদপটে
স্বপ্নের আরশি নাগর রচনা করব।
সেখানে স্বচ্ছজলের মত তোমার ছবি
প্লাবিত হয়ে যাবে এপাড় থেকে ওপাড়,
বৃষ্টিস্নাতো উত্তরের গহীন অরণ্য থেকে
কোমল পবন তোমায় সেখানে স্বস্তি জোগাবে।
কল্পনা প্রহরদের আমি দু-দন্ড ছুটি দিয়ে;
হাতের তিনটি গাঢ রক্ত গোলাপ চেপে ধরে
দূর্বা সবুজ ঘাস বিছানো মাটির পথটায়
পদ চিহ্ন ফেলে ছুটে চলেছি চৌমোহনায়।
আমার এই স্তব্ধ প্রাণ তোমার প্রণয়ের প্রতীক্ষীয়।