জমাট অন্ধকারের অদ্ভুত হিংস্রতায় নিরব উল্লাসে
কোন এক অস্তিত্ব চোখের পলকে মিলিয়ে গেল শূন্যতায় ।
রাতের প্রকৃতীর অঙ্গে মনে হয় কোন এক চঞ্চল কিশোরী
নত জানু হয়ে লজ্জা সংবরণে প্রার্থনা রত।
কুয়াশায় মোড়ানো অনুজ্জ্বল সকাল গুলোতে কে একজন
বারবার ডেকে যাচ্ছে কণ্ঠ নালীর একেবারে গভীর থেকে।
সে কণ্ঠটা যেন খুব পরিচিত এই অপরিচিত নগরেও।
হঠাৎ কোন সন্ধ্যায় স্ফিত বক্ষের এক তরুণী স্বর্ণচাঁপা খোপায় চেপে
উজ্জ্বল নয়নে যেন আমার দিকেই আছে।
মনে হলো কোন শীতল চোখ ঘুমের উল্লাসে ঢলে পড়ছে
শ্বেত তুষারের বিস্তৃত কোমল বক্ষ জুড়ে।
হাতে তার লোহিতে লেখা প্রণয়ের ইচ্ছাপত্র।
অলস দুপুর গুলোতে যেন কোন অশরীরীর চঞ্চল হাত
দেহ জুড়ে বিলি কেটে যায় বিড়ালের মায়ায়।
সহসা পরে যাওয়া আরশীর মত ভেঙেচুরে গেল
মস্তিষ্কে জমতে থাকা ইন্দ্রজালের ফুলঝুরিরা।
বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল বিমিশ্র স্বপ্নগুলো।
বাস্তবতায় জেগে দেখি এখানে প্রবাহমান এক ভিন্ন চিত্র।,
দুর্দমনীয় উল্লাসে তারা ভীষণ মত্ত,
বেঘুমের শয্যায় তাদের চোখ উত্তপ্ত,
বাধ্যহীন তনুতে তার শৃঙ্খলাহীন উষ্ণ রক্ত।
সব শেষে যেন তারা আমার শাসনহীন যৌবনের উল্লাস।