প্রতি রাতেই টেবিলে পড়ার সময় ঝিমুতাম বলে আমার বোন বাবা আমাকে মাথায় থাপ্পড় মারতো । একটু রাগ হতাম। এই রাগটুকুন কেও না বুঝলেও মা বুঝতে পারতো। তাই সে আমার টেবিলের পাশে তার মায়ের দেয়া পানের বাটা নিয়ে বসে আমার চারপাশের মশা তাড়াতো আর আমার সাথে আস্তে আস্তে কথা বলতো। মা পড়তে না পারলেও মায়ের ইচ্ছা ছিলো তাই মাঝে মাঝে সিলেট আর চক নিয়ে বসতো আমায় নিয়ে তবে তা খুবই কম সময়ের জন্য। মাকে মনে হয় সিগনেচার করাটা প্রায় শিখিয়ে ফেলেছিলাম যতদূর মনে পড়ে। আমি ঘুমিয়ে পড়লেই মা আমার পা কিংবা হাত নাড়া দিতো। আবারও জেগে পড়তে বসতাম। কখনো চোখে পানি দিতো। কারণ ছেলের পড়তে হবে।
আজ আর কেও আমি ঝিমুলে জাগাতে আসে না , এক্সাম এর সময় কেও খাইয়ে দেয় না। ঝিমুনোর কারণে এক্সামে লেট হতাম এখনও হই মাঝে মাঝে। না খেয়েই এক্সাম দিতে বের হই এখন । ঘরে ফেরার কোন তাড়া নেই কারণ এখন কেও বলবে না আমায় কিছু , কেও বকবে না। এখন আর কেও আমি রাত্রে পড়ার সময় আমার সাথে আস্তে আস্তে কথা বলেনা। শুনতে পাই না কোন শব্দ ।