খুব ভোরে যখন নির্মল হাওয়ার সন্ধানী হবে ,
তখন ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে দু-হাত বাড়িয়ে দেখো
মন জুড়ানো হিমেল বাতাস হয়ে জড়িয়ে নেবো!
হারিয়ে যেতে দেবোনা।

মন খারাপের দিনে যখন অভিমানিনী হবে,
তখন খোলা বাতায়নে হাতে চিবুক রেখো
কিচির স্বরের পাখি হয়ে মানিয়ে নেবো!
মানিনী হতে দেবোনা।

বৃষ্টি মুখর দিনে যখন উষ্ণ পরশ খুঁজবে,
তখন শার্সি ভেজিয়ে আরাম কেদারায় বসো
ধোঁয়া ওঠা এক মগ কফি হয়ে উষ্ণতা ছড়িয়ে দেবো!
বেদনা ছুঁতে দেবোনা।

বেদনা বিধূর ক্ষণে যখন অশ্রুজলে বিধৌত হবে,
তখন আয়নার সামনে বসে নিজের চোখে চোখ রেখো
অশ্রুমোছা কাজল হয়ে লেপ্টে যাবো তোমার চোখে!
কাঁদতে কভূ দেবোনা।

তবুও আড়ালে থাকবে তুমি ?
পারবেনা!

তোমার বস্ত্র হয়ে আষ্টেপৃষ্টে আকড়ে রাখবো!
সাদা বালিশটা হয়ে অতি আঁদরে ঘুম পাড়াবো!
দোলনা হয়ে হৃদয়-কাননে আলতো দোলা দেবো!
তোমায় ঘিরেই থাকবো
সময় হয়ে ! আলো হয়ে !! বাতাস হয়ে!!!
তবুও দূরে থাকবে ?

ঠিক আছে তাহলে , ছেড়ে যাচ্ছি তোমায় তবে যাচ্ছিনা !
থাকবো আজীবন,

কখনো কষ্ট পেলে বা বিষণ্ণতায় মন ছেয়ে গেলে ছাদে দাঁড়াবে!
আকাশে তাকিয়ে দুখগুলো ভাগ করে নেবে !

আমি আকাশ হয়ে শুনবো আর বৃষ্টি হয়ে কষ্টগুলো ধুয়ে দেবো!

তবু দূরেই থাকবো,
বহুদূরে..............


---------------------------
ভোর: ৫.৪০
৬/৬/২২ ইং
তুরাগ-তীরের ওয়াক ওয়ের রেলিঙে বসে ....